নয়া দিল্লি: ৩ বারেও হয় নি। কিন্তু আদালতে মামলা উঠতেই চতুর্থ বারে হল। বহু জলঘোলার পর দিল্লির মেয়র নির্বাচিত হল। অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দল আম আদমি পার্টি ঘোষণা করল দিল্লির নতুন মেয়রের নাম। শেলি ওবেরয় (Shelly Oberoi)। আপের তরফে তাঁকেই দিল্লির মেয়র হিসেবে ঘেষণা করেছেন আপের উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘‘দিল্লির জনতার কাছে গুন্ডাদের পরাজয় হয়েছে। দিল্লি পুরসভার মানুষ পেলেন আপের মেয়র। এ জন্য দিল্লির মানুষ এবং আপ কর্মীদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’’
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এনিয়ে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। কেজরিওয়ালও টুইট করে জানিয়েছেন, ‘‘এবার মস্তানির পরাজয় হল। দিল্লির মানুষের জয় হয়েছে। শেলি ওবেরয়কে (Shelly Oberoi) মেয়র হিসাবে নির্বাচন করায় দিল্লির মানুষকে ধন্যবাদ।’’ বিজয়ী হিসাবে ঘোষণা হওয়ার পরে শেলি ওবেরয় নিজেও জানিয়েছেন, ‘‘ভারত মাতা কি জয়। আমি আপনাদের নিশ্চিত করছি সাংবিধানিক রীতি মেনে আমরা হাউজ চালাব। আমি প্রত্যাশা করব সকলেই হাউজের মর্যাদা রক্ষা করবেন। এই হাউজ যাতে ভালোভাবে চলতে পারে তার জন্য় সকলের সহযোগিতা চাইছি।’’
রাজনীতির আঙিনায় প্রবেশের আগে শেলি ছিলেন অধ্যাপিকা। এখন তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি অধ্যাপক। তবে এখানেই শেষ নয়। শেলি ‘ইন্ডিয়ান কমার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর আজীবন সদস্য। বিভিন্ন ক্ষেত্রেই তাঁর অবদানের জন্য একাধিক পুরস্কার এবং স্বীকৃতি পেয়েছেন। ‘মিস কমলা রানি পুরস্কার’ থেকে কলেজে পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার জন্য পুরস্কার। পরে শেলির নানা বিষয়ে লেখালিখিও সমাদৃত হয়েছে পাঠক মহলে।
হিমাচল প্রদেশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করার পর ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএচডি করেন শেলি। বিষয় ছিল দর্শনশাস্ত্র। শেলি একাধারে যেমন ছাত্রছাত্রী পড়ান, সমানতালে রাজনীতি করেন। তাঁর রাজনীতিতে যোগদান ২০১৩ সালে। আপ প্রধান কেজরীওয়ালের দলেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি শেলির। বর্তমানে আপের মহিলা শাখার সহ-সভাপতি শেলি গত ২৬ জানুয়ারি পুরসভা ভোটের জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তারপর নির্বাচন হতেই ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী রেখা গুপ্তা সব মিলিয়ে ভোট পান ১১৬টি। আর শেলি ওবেরয় পেয়েছেন ১৫০টি ভোট।