কলকাতা – দল বদলুর খাতায় নাম লেখালেন বিজেপির আরেক বিধায়ক। আর তাতেই ফের সরগরম হয়ে উঠল পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য রাজনীতি। শাসক এবং বিরোধী, দুই দলের মধ্যে শুরু হয়ে গেল তরজা।
রবিবার তৃণমূলে যোগদেন আলিপুর দুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। আর তারপরই সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে একটি টুইট করে। তাতে লেখা হয়, ‘বিজেপির জনবিরোধী নীতি ও ঘৃণার বার্তাকে দূরে ঠেলে সুমন কাঞ্জিলাল আজ তৃণমূল পরিবারে যুক্ত হলেন। সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে যুক্ত হলেন তিনি। বিজেপি যে মানুষের জন্য কাজ করতে চায় না, আরও একজন বিজেপি বিধায়ক সত্যিটা উপলব্ধি করলেন।’
এই টুইট ঘিরে রবিবার সন্ধ্যায় কার্যত তোলপাড় শুরু হয় রাজ্য রাজনীতিতে। এই টুইটের পর বেশ কিছুক্ষণ কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি বিজেপির তরফে। তবে প্রথম নীরবতা ভাঙেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। ভিডিয়ো বার্তায় জানান, এতে বিজেপির খুব একটা কিছু আসবে যাবে না। এরপরই বিরোধী দলনেতার টুইট সামনে আসে। ঠিক সন্ধ্যা ৭টা বেজে ২৮ মিনিট। তৃণমূলের টুইটের (সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে টুইটটি করা হয়) ঠিক ১ ঘণ্টা ১৮ মিনিট পর।
শুভেন্দু টুইটারে লেখেন, ‘দলত্যাগ বিরোধী আইনের ভয়েই কি তৃণমূলের পতাকা হাতে দিলেন না? মুকুল রায়কে বিধানসভার ভিতরেও দাবি করা হয়েছে তিনি বিজেপির। সুমন কাঞ্জিলালের ক্ষেত্রেও হয়ত সেরকমই হবে। চ্যালেঞ্জ করছি, হিম্মত থাকলে সুমনকে বিধানসভায় বলতে বলুন তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।’
শুভেন্দুর এই টুইটের সঙ্গে সঙ্গেই পাল্টা বিরোধী দলনেতাকে এক হাত নেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তুলে ধরেন শিশির অধিকারী, দিব্যেন্দু অধিকারীর কথা। কুণাল বলেন, “শুভেন্দু দলত্যাগবিরোধী এত তত্ত্ব বলার আগে তোমাকে একটা সবিনয় অনুরোধ। এইভাবে সাধারণ মানুষের জন্য টুইট না করে, প্রথমে তুমি বাড়ি যাও। বাড়ি গিয়ে দরজা বন্ধ করে নিজের বাবা আর ভাইকে অ্যান্টি ডিফেকশন সংক্রান্ত নীতি বোঝাও।”
একইসঙ্গে কুণাল বলেন, বিজেপির বিধায়করাও মনে করছেন এই বিজেপি করা যায় না। এরা মানুষের বন্ধু নয়। রাজ্য বিজেপিকে ‘অপদার্থ’ বলে খোঁচা দিয়ে কুণাল বলেন, “এখানকার বিরোধী দলনেতা সিবিআই, ইডি থেকে বাঁচতে বিজেপিতে গিয়েছে। ফলে বিজেপির নেতা-কর্মী, বিধায়করা আস্থা রাখছেন না।”