ভূবনেশ্বর তীর্থক্ষেত্র পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের (Puri Jagannathan temple) কাছেই ভয়াবহ আগুন লেগেছে। যা ১২ ঘণ্টার চেষ্টাতেও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। ঘটনাস্থলে কাজ করছেন শতাধিক দমকল কর্মী এবং ওড়িশার বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। রয়েছে বেশ কিছু অগ্নি নির্বাপক ইঞ্জিন। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে কত সময় লাগবে, তা বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত স্পষ্ট করে জানাতে পারেনি দমকলবাহিনী।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, জগন্নাথ মন্দিরের (Puri Jagannathan temple) পাশেই যে বাজার সেই বাজারে আগুন লেগেছে। ইতিমধ্যেই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে ৪০টিরও বেশি দোকান। ওই বাজার চত্বরে বেশ কিছু গ্যাস সিলিন্ডারও মজুত করা ছিল। সেই সব সিলিন্ডার দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তা না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারত।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, বুধবার রাত ৮টা নাগাদ প্রথম আগুন লেগেছিল গ্র্যান্ড রোডের মারীচিকোট চকের লক্ষ্মী মার্কেট কমপ্লেক্সের একটি জামাকাপড়ের দোকানে। সেখান থেকই আগুন ছড়িয়ে পড়ে বাজার চত্বরের গায়ে গায়ে ঘেঁষা দোকানগুলিতে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত অন্তত ৪০টি দোকান আগুনে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
লক্ষ্মী মার্কেট কমপ্লেক্সটি পুরীর ঐতিহ্যবাহী মন্দিরের একাবারে কাছেই অবস্থিত। ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ওই শপিং মলের মধ্যেই রয়েছে একাধিক দোকান, রয়েছে রেস্তোরাঁ, পার্লারও। একটি পর্যটকদের হোটেলও রয়েছে ওই কমপ্লেক্সেরই টপ ফ্লোরে। সেখানে ১০৬ জন নাসিকের পর্যটক উঠেছিলেন। তাঁদেরও উদ্ধার করে কমপ্লেক্সের বাইরে বের করে আনা হয়েছে।
দমকল বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, পর্যটকদের উদ্ধার করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন দমকল কর্মীরা। তবে শেষ পর্যন্ত ওই বাজার চত্বর থেকে সমস্ত পর্যটককেই নিরাপদে উদ্ধার করা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন দমকল কর্মীরা।
প্রসঙ্গত, পুরীতে সারা বছরই থাকে পর্যটকেদের ভিড়। তবে সম্প্রতি মাধ্যমিক-সহ বেশ কিছু পরীক্ষা শেষ হওয়ায় পুরীতে এই মুহূর্তে পর্যটকদের সংখ্যা আরও বেশি। আগুনের খবরে ইতিমধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে পর্যটকদের মধ্যে। তবে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।