HomeরাজনীতিBudget Session : একাই একশ! সংসদে বিরোধীদের ধুয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী

Budget Session : একাই একশ! সংসদে বিরোধীদের ধুয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী

- Advertisement -

নয়াদিল্লি – যে ইডিকে নিয়ে বিরোধীদের এত আপত্তি, সেই ইডিকে হাতিয়ার করেই বিরোধীদের ধুয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি এদিন কটাক্ষ করে বলেন, দেশে ইডি ছিল বলেই বিরোধীরা ফের এক হতে পেরেছে। তা না হলে, তাঁরা এতদিন নিজেদের মধ্যেই ঠোকাঠুকি করছিলেন। এখন সংসদের বাজেট অধিবেশন (Parliament Budget Session) চলছে। এবারের বাজেট পেশের পর তা নিয়ে সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে আলোচনা চলছে। আর সেই আলোচনাতেই বিরোধীরা কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারকে আদানি ইস্যুতে ঘিরে ধরার চেষ্টা করছেন। আদানি ইস্যু নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়েই কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের কড়া সমালোচনা করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। বুধবার তারই জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পালটা বিরোধীদের আক্রমণের পথে হাঁটেন। নিজস্ব ঢঙে কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধীদের দিকে একের পর এক কটাক্ষবাণ ছোড়েন।

এদিন ঠিক কী বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

তিনি বিরোধীদের আক্রমণ করে বলেন, ‘এখন দুর্নীতির তদন্ত হচ্ছে। আর তদন্তকারী সংস্থাকে গালি দেওয়া হচ্ছে। সংসদে তদন্তকারী সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে অনেক কথা বলা হয়েছে। আমি দেখেছি, বিরোধীদের অনেকেই এতে সুরে সুর মেলাচ্ছে।’ প্রধানমন্ত্রী লোকসভায় হালকা মেজাজে বলেন, তিনি ভাবতেন দেশের সাধারণ মানুষ এবং নির্বাচনী ফলাফল বিরোধী দলগুলিকে নিশ্চয়ই একমঞ্চে নিয়ে আসবে। কিন্তু তা হয়নি। বরং, ইডি (Enforcement Directorate) বিরোধী দলগুলিকে একজোট করে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, বিরোধী দলগুলির উচিত সেই কারণে ইডিকে ধন্যবাদ দেওয়া। বললেন, ‘যে কাজ দেশের ভোটাররা করতে পারেননি, তা ইডি করে দেখিয়েছে।’

আর কী বলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী

শুধু ইডিকেই নয়, এমনকী দেশের সেনা এবং দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নিয়েও যেভাবে বিরোধীরা সমালোচনা করছে, তাতেও আপত্তি রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। বললেন, ‘যখন সেনা দেশকে গর্বিত করছে, তখন সেনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে। যখন দেশের আর্থিক উন্নতি নিয়ে গোটা বিশ্বে চর্চা হচ্ছে, তখন আরবিআইকে গালি দেওয়া হচ্ছে।’ বিগত ৯ বছর ধরে সংসদে গঠনমূলক সমালোচনার বদলে সবকিছুতেই কেবল সমালোচনা করার জন্য সমালোচনা করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন নরেন্দ্র মোদী।

প্রধানমন্ত্রীর কথায় উঠে আসে কংগ্রেসের বেহাল দশার কথাও। অতীতে করোনা পরিস্থিতির সময়ে দেশের অবস্থা নিয়ে হাভার্ডে কেস স্টাডি হবে বলে যে সমালোচনার রব তুলেছিল, সেই নিয়েও খোঁচা দিলেন মোদী। বললেন, ‘অতীতে হাভার্ডে একটি গবেষণা হয়েছিল – দ্য রাইজ় অ্যান্ড ডিক্লাইন অব ইন্ডিয়ান কংগ্রেস পার্টি। আমি বিশ্বাস করি ভবিষ্যতে কংগ্রেসের ধ্বংস নিয়ে শুধু হাভার্ড নয়, সব বিশ্ববিদ্যালয়েই গবেষণা হবে। আর যাঁরা কংগ্রেসকে ডোবাবেন, তাঁদের নিয়েও গবেষণা হবে।’

‘দেশের মানুষের ভরসা জিতে এসেছি’

বুধবার লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও বলেন, ‘সংবাদপত্রের শিরোনাম থেকে মোদীর উপর আস্থা তৈরি হয়নি, টিভিতে জ্বলজ্বল করা মুখ থেকে মোদীর উপর এই আস্থা তৈরি হয়নি। জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছি। প্রতিটি মুহূর্ত উৎসর্গ করে দিয়েছি। দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছি। দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রীর বাক্য সম্পূর্ণ হতে না হতেই লোকসভায় ‘মোদী’ ‘মোদী’ স্লোগান ওঠে। বিজেপি সাংসদদের সমবেত স্লোগানে গমগম করতে থাকে সংসদের নিম্নকক্ষ। তারইমধ্যে খোঁচার সুরে মোদী বলতে থাকেন, কী কারণে দেশের মানুষ তাঁর উপর এত ভরসা করেন, তা বিরোধীদের ধর্তব্যের বাইরে। তারপর নিজেই দেশের মানুষের আস্থা অর্জনের কারণ ব্যাখ্যা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। যিনি টানা নয় বছর প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে আছেন।

মোদী বলেন, ‘কেন মোদীর উপর দেশবাসীর ভরসা আছে, তা তাঁদের (বিরোধীদের)  ভাবনাচিন্তার বাইরে। ভাবনাচিন্তার অনেক বাইরে। আমার দেশের যে ৮০ কোটি মানুষ বিনামূল্যে রেশন পান, তাঁরা কি এই মিথ্যা অভিযোগ করা লোকেদের উপর ভরসা করবেন? এক দেশ, এক রেশন কার্ডের মাধ্যমে দেশের যে কোনও প্রান্তে যাঁরা বিনামূল্যে রেশন পেয়ে যান, তাঁরা কীভাবে এই মিথ্যুকদের ওপর ভরসা করবেন?’

- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -