Homeপাঁচফোড়নMia Khalifa: পর্নতারকা মিয়া খলিফার জীবনের না জানা গোপন লড়াইয়ের কাহিনী, যা...

Mia Khalifa: পর্নতারকা মিয়া খলিফার জীবনের না জানা গোপন লড়াইয়ের কাহিনী, যা আপনাকে অবাক করে দেবে

- Advertisement -

মিয়া খলিফা (Mia Khalifa)। এই নামটি শুনলেই অনেকেরই বুকের রক্ত ছলাৎ করে ওঠে। ইন্টারনেটের নীল জগতে (Porn Industry) যাঁদের প্রায়শই আনা-গোনা, তাঁদের কাছে মিয়া খলিফা অতি পরিচিত নাম। তাঁদের কাছে মিয়া খলিফা একজন লাস্যময়ী, নিষ্পাপ মুখের অধিকারী পর্নস্টার (Porn Star)। যিনি এক সময় বোরখা বা হিজাব পরে নীলছবির দুনিয়ায় হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন। এনিয়ে সারা দুনিয়ায় কম বিতর্ক হয়নি। এমনকী, হিজাব (Hijab) পরে নীলছবি করার দায়ে মিয়া খলিফার মাথার দামও ঠিক করে ফেলেছিল মুসলিম দুনিয়ার ওম্মারা। আর তারপরই শোনা যায় মিয়া খলিফা নীলছবির জগতকে বিদায় জানিয়েছেন। তিনি চেষ্টা করছেন সাধারণ জীবনে ফিরে আসার। কিন্তু পর্নস্টার তকমা তাঁকে এখন ছাড়েনি। মিয়া খলিফাকে সারাবিশ্বে পরিচিতি দিয়েছিল পর্নফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। কিন্তু সেই ইন্ডাস্ট্রিকে বিদায় জানালেও মিয়া খলিফাকে পর্নইন্ডাস্ট্রি কিন্তু আজও ছাড়ে নি।

মিয়া খলিফা কে (Who is Mia Khalifa)

মিয়া খলিফার জন্ম লেবাননে। ১০ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩ সালে। লেবাননের বৈরুতে (BIERUT) একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম হলেও তাঁরা বেশিদিন সেখানে থাকেন নি। মিয়া খলিফার পরিবার চলে আসে ফ্রান্সে। লেবাননে থাকার সময় মিয়া খলিফার নাম ছিল সারা‌ জো চামাও (Sarah Joe Chamoun)। পরে আমেরিকায় পড়তে এসে সেই নাম বদল করে মিয়া খলিস্তা (Mia Callista) নামে কলেজে ভরতি হন। মিয়া ফ্রান্সের নামে একটি প্রাইভেট স্কুলে পড়াশোনা শুরু করেন। আর সেখানেই তাঁর ইংলিশ ভাষা ও কালচারের সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর ২০০১ সালে মিয়া খলিফার বয়স যখন মোটে ৭ বছর, তাঁর পরিবার ফ্রান্স ছেড়ে আমেরিকার ম্যারিল্যান্ডে চলে আসে। এরপর সেখানেই থাকতে শুরু করে।

মিয়া খলিফার জীবনী (Mia Khalifa Life)

মিয়া খলিফা (Mia Khalifa) নানা সময়ে নানা মিডিয়ায় নিজের জীবন কাহিনী শোনাতে গিয়ে জানিয়েছেন, আমেরিকার স্কুলে পড়াশোনা করার সময় তাঁকে নিয়ে অনেকেই মজা করত। গায়ের রং কালো হওয়ায় টোন্ট-টিককিরি করত। এতে ধীরে ধীরে মিয়া খলিফা আত্মবিশ্বাস হারাতে শুরু করেন। নিজের ভিতর গুটিয়ে যেতে শুরু করেন। এরপরই আমেরিকার ইতিহাসে বড় সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়। 9/11 অ্যাটাক। এই ঘটনার পর মিয়া খলিফার মতো কালো চামরার লোকেদের প্রতি আমেরিকানরা তাচ্ছিল্য এবং অপমানজনক কথা বলতে শুরু করে। মিয়া খলিফা (Mia Khalifa) বুঝতে পারেন, তিনি ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছেন। সবাইকে দেখে ভয় লাগছে। মনের ভয় দূর করে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে মিয়া খলিফা আমেরিকার ভার্জিনিয়া শহরের মিলিটারি অ্যাকাদেমিতে যোগ দেন। সেখানে পড়াশোনা শেষ করে টেক্সাসে চলে যান। এবং শেষ পর্যন্ত টেক্সাস ইউনিভার্সিটি থেকে ইতিহাসে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেন।

কিন্তু ব্যাচেলর হওয়ার পরেও মিয়া খলিফা বুঝতে পারছিলেন, তিনি তখনও ভিতরে ভিতরে গুটিয়ে রয়েছেন। কাজের জন্য কোনও ইন্টারভিউ দিতে গেলে থরথর করে কাঁপছেন। ভিতর থেকে সাহস আসছে না। এই পরিস্থিতিতেই তিনি কিছুদিন আমেরিকার আরেক শহর ফেলোডারে চলে যান। একটি রেস্তরাঁয় ওয়েট্রেসের কাজ শুরু করেন। সেখান থেকে মদের বার-এ বারটেন্ডার গার্ল  হিসেবে কাজ পান। বারটেন্ডার গার্ল হিসেবে কাজ করার সময়েই মিয়া খলিফার পরিচয় হয় তাঁর প্রাক্তন স্বামী সুইডিশ শেফ রবার্ট স্যান্ডবার্গের (Robert Sandberg) সঙ্গে। মিয়া খলিফার বয়স তখন ২০‘র কোঠায়। এই সময়ে মিয়া এবং রবার্ট লুকিয়ে বিয়েও সেরে ফেলেন। রবার্টের ইচ্ছাতেই এরপর মিয়া খলিফা মডেলিং জগতে পা রাখেন। কিছুটা পরিচিতি তৈরি হয়। জীবন বেশ সুন্দর কাটতে শুরু করেছিল। এমনকী সেই সময়ে ‘ডিল অর নো‌ ডিল’ (Mia Khalifa: Deal or No Deal) নামে একটি স্প্যানিশ গেম টিভি শোতেও কাজ করেন মিয়া খলিফা।

কিন্তু এরপরই কোথাও যেন জীবনের তাল কাটে। মিয়া খলিফার সঙ্গে রবার্টের (Robert Sandberg) সম্পর্কের টানাপড়েন দেখা দেয়। রবার্ট অন্য মহিলার সঙ্গে জড়াতে শুরু করেন। সেই সময় মিয়ার মনে ফের ভয় দানা বাঁধতে শুরু করে। মিয়া ভাবতে শুরু করেন, তাঁর আত্মবিশ্বাসের অভাবের কারণেই রবার্ট তাঁকে এড়িয়ে যাচ্ছে। আত্মবিশ্বাস বাড়াতে মিয়া নিজের শরীরের দিকে নজর দিতে শুরু করেন। যোগাসন ও জিমে গিয়ে নিজের ওজন ঝরিয়ে ফেলেন। পাশাপাশি নিজেকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে স্তনের প্লাস্টিক সার্জারি করান। কিন্তু ওদিকে, মিয়া মডেলিং কিংবা অভিনয় – কোনও কিছুতেই নতুন কাজ পাচ্ছিলেন না। হাত একেবারে খালি। এই পরিস্থিতিতে কঠিন সিদ্ধান্তটা নিয়েই ফেলেন মিয়া। মডেলিং করার সময় কয়েকজন ফটোগ্রাফার ন্যুড মডেলিং করার অফার দিয়েছিল। সেই ফটোগ্রাফারদের ফোন করে রাজি হয়ে যান মিয়া। কিন্তু ন্যুড ফটোগ্রাফি করতে গিয়ে মিয়া বুঝতে পারেন, এতে শুধু কাপড় খুললেই চলে না। আরও কিছু করতে হয়। না হলে কাজ পাওয়া যায় না। অতএব তিনি রাজি হয়ে যান। এবং ২০১৪ সাল নাগাদ মিয়া পর্নইন্ডাস্ট্রিতে নাম লিখিয়ে ফেলেন।

মিয়া খলিফার খেলা (Porn Star Mia Khalifa)

মিয়ার বয়স তখন ২১। আগুন ঝরছে তাঁর শরীরে। মিয়া খলিফার লুক দেখে এক মার্কিন পরিচালক তাঁকে হিজাব পরে পর্নছবিতে (Porn Film) অভিনয় করতে বলেন। মিয়া কোনও কিছু না বুঝে তাতেই রাজি হয়ে যান। ছবির শ্যুটও হয়ে যায়। পরে ইউটিউবে জনপ্রিয় পডকাস্ট ‘ফরওয়ার্ড’ এর উপস্থাপক ল্যান্স আর্মস্ট্রংকে এসব কথা জানিয়েছিলেন মিয়া। প্রথমদিন পর্নছবি শ্যুটের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে জানিয়েছিলেন, ‘‘প্রথমদিন পর্ন অভিনয় করার পর একই সঙ্গে লজ্জা ও অপরাধবোধ কাজ করছিল। একই সঙ্গে মনে হচ্ছিলো আমি ঠিক করেছি। কিন্তু আমি ভেবেছিলাম কোম্পানির বাইরে কেউ চট করে আমাকে চিনতে পারবে না। কেননা, সেই সময় ইন্টারনেটের এত মাতামাতি ছিল না। তখন আমি আসলে ২১ বছর বয়সী একটা গাধা ছিলাম।’’

কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই মিয়ার হিজাব পরা পর্নছবি সারাবিশ্ব তোলপাড় করে দেয়। ততদিনে মিয়া বেশ কয়েকটি নীলছবি শ্যুট করে ফেলেছেন। আরও কিছু সিনেমার জন্য কয়েকজন মার্কিন পর্ন প্রডিউসারকে কথাও দিয়েছেন। পিছন ফেরার কোনও উপায় ছিল না। সুতরাং বাধ্য হয়েই মোট ১৩টি পূর্ণ দৈর্ঘের পর্নছবিতে (Porn Film) অভিনয় করেন মিয়া খলিফা। যা তাঁর বাবা-মা মেনে নিতে পারেনি। এক বিবৃতিতে তাঁরা জানিয়েছিলেন, ‘মিয়ার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই আমাদের। কারণ ও যে কাজটা করে সেটা আমাদের পরিবার বা আমাদের দেশ লেবাননকে কোনওভাবেই সম্মানিত করে না।’ এবং যে স্বামীকে ধরে রাখতে মিয়া টাকা জোগাড় করতে নীলছবির জগতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন – সেই রবার্টের (Robert Sandberg) সঙ্গেও তাঁর বিচ্ছেদ হয়ে যায়।

মিয়া খলিফার রহস্যময় চশমা (Mia Khalifa’s Mysterious Glasses)

মিয়া খলিফার চশমা নিয়ে অনেকের অনেক আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। অনেকের মনের কৌতুহলেরও শেষ নেই। পর্ন ভিডিওতে যে চশমা (Mia Khalifa’s Glasess) মিয়া ব্যাবহার করতেন সেটা তিনি তাঁর নিজ দেশের প্রয়োজনে নিলামে তুলেছিলেন। মিয়া খলিফা পেশাদার পর্নস্টার ছিলেন তখন তাকে খুনের হুমকি দিয়েছিল নিজের দেশ লেবাননের কট্টরপন্থীরা। দেশটিতে প্রবেশাধিকারও হারান তিনি। কিন্তু মাতৃভূমির সংকটে তিনিই এগিয়ে এসেছিলেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে। সম্প্রতি ভয়াবহ বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত লেবানন। দেশের পাশে দাঁড়াতে অর্থসংগ্রহের মিশনে নেমেছিলেন তিনি। সেজন্য তিনি নিজের বিখ্যাত চশমাটি (Mia Khalifa’s Glasess) নিলামে তুলেছিলেন।

এ থেকে সংগৃহীত অর্থ তিনি ত্রাণে তুলে দিয়েছেন। দেশপ্রেমের এক অনন্ত নজীর স্থাপন করেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় খলিফা (Mia Khalifa) জানান, লেবাননের পাশে দাঁড়াতে তার বিখ্যাত চশমা নিলামে তুলছেন তিনি। সেটি বিক্রি করে যে অর্থ তিনি পেয়েছেন, তা বিস্ফোরণ বিধ্বস্ত দেশের রেড ক্রসের ত্রাণ তহবিলে দান করেছেন। চশমার বিষয়ে গ্লোবাল নিউজ জানায়, মিয়া খলিফা চশমাটি ই-বেয়তে (e-bay) নিলামে তুলেছেন। সেটির মূল্য এখন পর্যন্ত এক লাখ ডলার উঠেছে। নিলাম চালু থাকবে আজ শনিবার বিকাল পর্যন্ত। এই নিলাম থেকে যা অর্থ উঠবে তা পুরোটাই লেবাননের রেড ক্রস এর হাতে তুলে দেবেন মিয়া।

মিয়া খলিফা কি মুসলিম (Is Mia Khalifa a Muslim?)

এনিয়ে যথেষ্টই বিতর্ক রয়েছে। কিন্তু, তিনি নিজে টুইটারে ঘোষণা করেছেন যে, তিনি মুসলমান নন, মুসলিম ধর্মের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই। মিয়ার নামের কারণে মনে হতে পারে মিয়া খলিফা একজন মুসলিম। কিন্তু যতটুকু ইন্টারনেট ঘেঁটে জানা যায় – মিয়ার পরিবার ক্যাথলিক আর মিয়া ছোট থেকেই এই ধর্ম অনুসরণ করেন। কিন্তু পর্নইন্ডাস্ট্রি ছাড়ার পর মিয়া কোন ধর্ম পালন করে না। আসলে শুরুতেই যেহেতু মিয়া খলিফাকে হিজাব পরিয়ে মুসলিম সাজিয়ে নীলছবি শ্যুট করা হয়েছিল, এবং লোকে যেহেতু সাধারণভাবে খলিফা পদবিকে আরব দেশের কোনও মুসলমান নাগরিকের মনে করে – ফলে দুয়ে দুয়ে চার করলে মিয়া খলিফা মুসলিম ছাড়া কিছু হতে পারে না। কিন্তু পুরোটাই যে মিথ্যে – সেকথা মিয়া জানিয়ে দিয়েছেন। তবে তার পরেও অনেকে যেটা যুক্তি দিচ্ছেন যে, আসলে ফতোয়ার হাত থেকে বাঁচতেই এখন মিয়া এসব কথা বলছেন। আর সেই কারণেই পর্নইন্ডাস্ট্রিও ছেড়েছেন। এখন আর কোনও ধর্ম পালন করছেন না।

মিয়া খলিফার মৃত্যু (Mia Khalifa Dead)

কয়েক মাস আগে সোসাল মিডিয়ায় একটি খবর ছড়িয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল মিয়া খলিফা মারা গেছেন। সেখানে লেখা ছিল : শকিং, মিয়া খালিফা আত্মঘাতী হয়েছেন – RIP #miakhalifa! কিন্তু সোসাল মিডিয়া ফলোয়ারদের সঙ্গে মাইক্রো ব্লগিং সাইটে চ্যাট করার সময় সেই খবর দেখে চমকে যান মিয়া। যদিও নিজের মৃত্যুর খবরে না রেগে বরং রসিকতায় করেন। নিজের মৃত্যুর ভুঁয়ো খবরের পালটা টুইটে তিনি লেখেন, ‘দয়া করে এটা ভেবো না যে কোনও বন্ধু শোকবার্তা পাঠাচ্ছে কি না, তার কোনও ট্র্যাক রাখছি না’!

মিয়া খলিফা নিউজ (Mia Khalifa Recent News)

তবে যতটুকু জানা যাচ্ছে, মিয়া খলিফা পর্নইন্ডাস্ট্রি (Porn Industry) ছেড়ে এখন নতুন করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার চেষ্টা করছেন। সোসাল মিডিয়ায় ফ্যান-ফলোয়ার আগে থেকেই অনেক ছিল। যদিও মাঝখানে সোশাল মিডিয়া থেকেও এক বছরের দীর্ঘ বিরতি নেন। এরপর ২০১৬ সালে ফের তিনি ইনস্টাগ্রামে ফিরে আসেন এবং তিনি একটি নতুন জীবন শুরুর চেষ্টায় ফের আমেরিকার টেক্সাস শহরে ফিরে যান। ২০১৭ সালের অক্টোবরে, মিয়া খলিফা (Mia Khalifa) ঘোষণা করেন, তিনি ‘আউট অফ বাউন্ডস’ নামে একটি দৈনিক স্পোর্টস টক শো-এর সহ-হোস্টিং করছেন। কিন্তু সেই সময়েই মিয়া খলিফা বড় একটি দুর্ঘটনার শিকার হন। তিনি আইস হকি দেখতে দর্শক সারিতে বসেছিলেন। হঠাত্‍ই ছয় আউন্স ওজনের হকির একটি অংশ ‘পাক’ (আইস হকিতে ব্যবহৃত ডিস্ক) এসে তাঁর বুকে আঘাত করে। সংবাদমাধ্যম মিড ডে এ খবর অনুযায়ী দুর্ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মিয়া খলিফা জানিয়েছিলেন, ‘‘খেলা চলাকালে তিনি কাঁচের দেওয়ালের পেছনে বসেছিলেন। মিয়া খলিপা ভাবতেই পারেননি যে হুট করে ডিস্কটি এসে তাঁর বুকে আঘাত করবে! তিনি ডিস্কটি বুকে চেপে ধরেছিলেন। নইলে রক্ত ছড়িয়ে যেত!’’

যদিও মিয়া খলিফা (Mia Khalifa) এখন ভালোই আছেন। শোনা যাচ্ছে, পুরনো স্বামী রবার্টের সঙ্গে তাঁর নতুন করে বন্ধুত্ব হয়েছে। পুরনো কথা ভুলে তাঁরা নতুন করে বন্ধুত্বের সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। মেগান অ্যাবটের (Megan Abbott) সাথে একটি সাক্ষাৎকারের সময়, মিয়া খলিফা তাঁর নীলছবিতে উপার্জন সম্পর্কে তথ্য শেয়ার করেছিলেন। মিয়া জানান, পর্নইন্ডাস্ট্রিতে তিনি মাত্র ১২ হাজার ডলার পেয়েছিলেন। যা এখনকার বাংলাদেশি কিংবা ভারতীয় টাকায় প্রায় ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকার মতো।  যদিও অনেকে বলেন, ২০২১ সালে মিয়া খলিফার (Mia Khalifa)  মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৪ মিলিয়ন ডলার বা ৩০ থেকে ৩৫ কোটি টাকার মতো। মিয়া এবং তাঁর প্রাক্তন স্বামী এখন একটি ইউটিউব চ্যানেল চালাচ্ছেন। ইউটিউব চ্যানেলে নিয়মিত তিনি তাঁর দৈনন্দিন জীবন সম্পর্কে ভিডিও আপলোড করছেন। মিয়া খলিফা ২০১৯ সালে টিকটক ভিডিও বানাতে শুরু করেন। নাক নিয়ে কত কেরামতি করা যায়, তার নানান ধরণ সবাইকে দেখাচ্ছেন। তাঁর কথায়, ‘১৫ বছর ধরে এমনটা ভাবছিলাম। অবশেষে হল।’

মিয়া খলিফাকে (Mia Khalifa) নিয়ে আজও অনেক বিতর্ক চলে। বস্তুত তাঁর আবেদন এড়িয়ে যাওয়ার সাধ্য তো কারোরই নেই। নীল ছবির দুনিয়া ছেড়েছেন বেশ কয়েক বছর হল। তবুও অনুরাগীর সংখ্যায় ভাঁটা পড়েনি। ভারতের কৃষক আন্দোলন নিয়ে মন্তব্যই হোক বা পছন্দের খাওয়ার ভিডিও। যাই করুন না কেন, তাতেই ভাইরাল প্রাক্তন পর্ন স্টার মিয়া খলিফা।

- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -