Homeপশ্চিমবঙ্গSagardighi: মন্ত্রীর জয়ী আসনে পরাজয় কেন?‌ সাগরদিঘি নিয়ে রিপোর্ট তলব তৃণমূল সুপ্রিমোর

Sagardighi: মন্ত্রীর জয়ী আসনে পরাজয় কেন?‌ সাগরদিঘি নিয়ে রিপোর্ট তলব তৃণমূল সুপ্রিমোর

- Advertisement -

কলকাতা: কেন সাগরদিঘিতে (Sagardighi) মন্ত্রীর জয়ী আসনে পরাজয়?‌ সে নিয়ে জেলা নেতৃত্বের কাছে রিপোর্ট তলব করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রে খবর, এ বিষয়ে যত দ্রুত সম্ভব রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

২০১১ সাল থেকে গত বিধানসভা নির্বাচন—টানা ৩ বার তৃণমূলের দখলে থেকেছে একদা কংগ্রেসের গড় বলে পরিচিত মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি (Sagardighi) বিধানসভা। এর আগের নির্বাচনেও এই কেন্দ্রে প্রায় ৫০ হাজার ভোটে জিতে মন্ত্রী হয়েছিলেন তৃণমূলের সুব্রত সাহা। তাহলে এবার কী হল?‌ সেটাই জেলা নেতৃত্বের কাছে জানতে চেয়েছেন মমতা।

যদিও সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, বাম-কংগ্রেস ও বিজেপি একজোট হওয়ার কারণেই তৃণমূল হেরেছে। এনিয়ে তিনি বিরোধীদের সাবধানও করেছিলেন। বলেছিলেন, বিরোধীরা ভবিষ্যতে ‘‘চোখে সর্ষের ফুল দেখতে পাবেন।’’

কিন্তু বিরোধীরা একাট্টা হলেও তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব কেন তার বিরুদ্ধে লড়তে পারল না – সেটারই রিপোর্টে ব্যাখ্যা চেয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তৃণমূল সূত্রে খবর, আসলে বিরোধীরা একজোট হলেন, কেন সেই জোট আগে-ভাগে ভাঙা গেল না – সেটারই ব্যাখ্যা চাইছেন মমতা।

যদিও তৃণমূল নেত্রীর ঘণিষ্ঠ বলে পরিচিত দেবাশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাগরদিঘির মতো সংখ্যালঘু অধ্যুষিত আসনে আদৌ প্রার্থী করা উচিত ছিল না কি না – সে নিয়েও দলের ভিতরে প্রশ্ন উঠছে। কেননা, তাঁকে একসময় দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে তিনি দলে ফিরে ব্লক সভাপতির দায়িত্ব পান।

বিষয়টি নিয়ে জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি খলিলুর রহমান সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‌দলের মধ্যেই অন্তর্ঘাতের কিছু খবর আমরা পাচ্ছি। সবটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বুথস্তরে দায়িত্বে থাকা নেতাদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হবে।’‌

- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -