শনিবার, নভেম্বর 23, 2024
শনিবার, নভেম্বর 23, 2024
Homeখবরমহারাষ্ট্রে ঝড় বিজেপির, তৃণমূলকে নকল করতে গিয়ে মহারাষ্ট্রে নাকাল মোদী বিরোধীরা

মহারাষ্ট্রে ঝড় বিজেপির, তৃণমূলকে নকল করতে গিয়ে মহারাষ্ট্রে নাকাল মোদী বিরোধীরা

- Advertisement -

মুম্বই – মাত্র ছয় মাস! আর তাতেই মহারাষ্ট্রে মোদী বিরোধীদের আশা এক্কেবারে নিরাশায় পরিণত হল। বিধানসভা ভোটের যা ফলাফল তাতে স্পষ্ট, মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে শিন্ডেসেনা-বিজেপি-এনসিপি (অজিত)-র ‘মহাজুটি’। ২৮৮টির মধ্যে ২২১টি আসনে তারা এগিয়ে রয়েছে। জিতে গিয়েছে দু’টি আসনে।

অন্যদিকে কংগ্রেস জোট কোনওক্রমে ৫০ আসনে এগিয়ে রয়েছে। বিরাট অঘটন না ঘটলে এই ফলাফলে আকাশপাতাল বদল আসার কোনও সম্ভাবনা নেই। যার অর্থ ছমাসের মধ্যে আরও একটা সম্ভাবনাময় রাজ্যে ধরাশায়ী হল বিরোধী শিবির।

অথচ, মহারাষ্ট্রে আগে লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রে দাপট দেখিয়েছিল মহা বিকাশ আঘাড়ি। ৪৮ আসনের মহারাষ্ট্র লোকসভায় মোদী বা বিজেপি বিরোধী মহাজোট ৩১ আসন জিতেছিল। মহারাষ্ট্রের বিজেপি ও তার শরীক সরকার জেতে মাত্র ১৭ আসনে। কিন্তু ছমাস বাদে বিধানসভা নির্বাচনে সম্পূর্ণ উলটো ছবি। তাহলে কি যোগীর সেই বিখ্যাত স্লোগান ‘বাটোগে তো কাটোগে’ মারাঠি মানুষদের মনেও জায়গা করে নিয়েছে?

আসলে মাস ছয়েক আগে লোকসভার ফলপ্রকাশের পর দুই শিবিরের মানসিকতাই ছিল দুরকমের। বিজেপি যেখানে ধাক্কা সামলাতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল, সেখানে বিরোধী শিবির ভুগছিল আত্মতুষ্টিতে। লোকসভার ধাক্কা ভুলতে লাডলি বহিন, টোল ট্যাক্সে ছাড়, ইলেকট্রিক বিলে ছাড়ের মতো খয়রাতি শুরু করে মহাজুটির সরকার।

পাশাপাশি বিজেপি শুরু করে সংগঠনের কাজ। লোকসভায় যে সংঘের সঙ্গে বিবাদে ধাক্কা খেতে হয়েছিল, পুরোপুরি আসরে নেমে পড়ে সেই সংঘই। মহারাষ্ট্রে স্রেফ দলিত ভোটারদের একত্রিত করতে ৬০ হাজারের বেশি কর্মসূচি নিয়েছিল RSS। মারাঠা সংরক্ষণ ইস্যুর চাপ সামলাতে ওবিসিদের একত্রিত করার কাজটিও নীরবে করে গিয়েছে আরএসএস-বিজেপি।

অন্যদিকে অতিরিক্ত আত্মতুষ্টিতে ভোগা বিরোধী শিবির ধরেই নিয়েছিল লোকসভার ফলাফলেরই পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে। তাই তৃণমূল স্তরে নজর না দিয়ে নিজেদের মধ্যে খেয়োখেয়িতে ব্যস্ত ছিল কংগ্রেস, শিব সেনা উদ্ধব এবং এনসিপি পওয়ার।

তাছাড়া লোকসভায় যে দলিত-মারাঠা সমীকরণ কাজ করেছিল, সেই দলিত-মারাঠাদের অঙ্কও কাজ করেনি। ফলাফলে স্পষ্ট যে, নিচুতলায় মহা বিকাশ আঘাড়ির তিন শরিক একে অপরের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। এটার অন্যতম কারণ ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ ঘোষণা না করা। এবং আসনরফার কাজটা মসৃণভাবে করতে না পারা। সব মিলিয়ে সমন্বয়ের অভাবই ভোগাল বিরোধী শিবিরকে।

প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রে মূল লড়াই ছিল বিজেপি-শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে)-এনসিপি (অজিত)-এর জোট ‘মহাজুটি’এবং কংগ্রেস-শিবসেনা (ইউবিটি)-এনসিপি (শরদ)-এর ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’র মধ্যে। মহারাাষ্ট্রে মোট আসনের সংখ্যা ২৮৮। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জাদুসংখ্যা ১৪৫। যার থেকে অনেক বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি।

আরও খবর
- Advertisment -

সবাই যা পড়ছেন

পছন্দের খবর