Homeপশ্চিমবঙ্গDurgapuja on Dol Purnima: দোলের দিনে দুর্গাপুজো দেখতে হলে যেতে হবে হুগলীর...

Durgapuja on Dol Purnima: দোলের দিনে দুর্গাপুজো দেখতে হলে যেতে হবে হুগলীর শ্রীরামপুর টাউন ক্লাবে

- Advertisement -

শ্রীরামপুর: ফাল্গুন মাসে শারোদৎসব! দোলের দিন দুর্গাপুজো (Durgapuja on Dol Purnima)! না শুনে থাকলেও অবাক হওয়ার কারণ নেই। প্রত্যেক বছর দোলপূর্ণিমার দিনেই মহিষমর্দিনী পুজোর আয়োজন করে আসছে হুগলীর শ্রীরামপুর টাউন ক্লাব।

মহিষমর্দিনী আদতে দুর্গারই আরেক রূপ। এখানে প্রতিমার পাশে কার্তিক, গনেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী বদলে দুর্গার দু’পাশে থাকেন দুই সখি জয়া ও বিজয়া। দুর্গাপুজোর (Durgapuja on Dol Purnima) মতনই রীতি মেনে চারদিন ধরে হয় পুজো।

এই বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “এই পুজো আমাদের কাছে এক আলাদা আবেগ। দারুন মজা করি এই পুজোর কদিন। আবির খেলা, রঙ খেলা তো আছেই, এই পুজো উপলক্ষ্যে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হয়ে থাকে।”

ক্লাব কর্তারা জানিয়েছেন, দোলের দিন রাধাকৃষ্ণের পুজোর জায়গায়, শ্রীরামপুরের দে পরিবারে চল ছিল মহিষমর্দিনী পুজোর। শ্রীরামপুরের জমিদার ছিল এই দে পরিবার। এই পরিবারের দুই সদস্য পুলিন বিহারী দে ও নগেন্দ্র নাথ দে ১২১১ বঙ্গাব্দে শ্রীরামপুরের পঞ্চানন তলায় দোলের দিন মহিষমর্দিনী পুজোর প্রচলন করেন।

এক সময় এই পুজোয় মহিষবলি হতো, তবে দীর্ঘদিন তা বন্ধ। ১৯৭০ সাল থেকে স্থানীয় শ্রীরামপুর টাউন ক্লাবের পরিচালনায় এই ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন পুজো হয়ে আসছে। পুজো উপলক্ষে এলাকার মানুষকে অষ্টমীর দিন ভোজ করানো হয়।

পুজোর তিন দিন ধরে অনুষ্ঠিত হয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। জানা গিয়েছে, আগে যাত্রা পালা,কবিগান হত। দোলের দিন সকালে মায়ের পায়ে আবির মাখিয়ে এলাকার মানুষ নিজেদের মধ্যে আবির খেলায় মেতে ওঠেন।

শ্রীরামপুর টাউন ক্লাবের সেক্রেটারি জানান, “আসলে এই পুজো প্রায় ২১৮ বছরের পুরনো। শ্রীরামপুরের দে পরিবারের হাতে এই পুজোর শুরু হয়। আজ থেকে ৫৩ বছর আগে এই পুজো ওই পরিবার শ্রীরামপুর টাউন ক্লাবের হাতে হস্তান্তর করেন। তারপর থেকে এই পুজো সবার হয়ে গিয়েছে। গোটা শহর এই পুজোয় অংশগ্রহন করে।”

তিনি আরও জানান, “প্রত্যেকবার দোলের দিন সকালবেলা প্রভাতফেরি বের করা হয়। সেই সঙ্গে চলে আবির খেলা। এই বছরও তার অন্যথা হয়নি। তারপর শুরু হয় মহিষমর্দিনী পুজো। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব শারদোৎসবে যেমন নিয়ম মেনে দুর্গাপুজো করা হয়। এখানেও ঠিক একই নিয়মে এই পুজো সম্পন্ন করা হয়।”

- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -