HomeভারতDelhi-Mumbai Expressway: দেশের অত্যাধুনিক দিল্লি-মুম্বই এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী

Delhi-Mumbai Expressway: দেশের অত্যাধুনিক দিল্লি-মুম্বই এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী

- Advertisement -

নয়াদিল্লি – কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকড়ী কথা দিয়েছিলেন, কয়েক বছরের মধ্যেই ভারতের রাস্তাকে আমেরিকার থেকেও ভালো করে দেবেন। গত কয়েক বছর ধরে লাগাতার সেই চেষ্টা করে গেছেন তিনি। বলতেই হবে নিতিন গডকড়ী তাঁর কথা রেখেছেন। আগামিকাল রবিবার দিল্লি-মুম্বই এক্সপ্রেসওয়ের একটি অংশের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই এক্সপ্রেসওয়ের ফলে দিল্লি ও মুম্বইয়ের মধ্যে দূরত্ব অনেকটা কমে আসবে। ঝা চকচকে রাস্তা। দেশের রাজধানী থেকে বাণিজ্য নগরী পৌঁছে যাওয়া যাবে দ্রুত। দিল্লি-মুম্বই এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের একটা অংশ সেজে উঠেছে। দিল্লি থেকে দৌসা-লালসোত পর্যন্ত রাস্তার উদ্বোধন বাকি। আর রবিবার প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে উদ্বোধন হবে এই রাস্তার।

১,৩৮৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই এক্সপ্রেসওয়ে দিল্লি ও মুম্বইয়ের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবে। এর ফলে দিল্লি ও মুম্বইয়ের মধ্যে যাতায়াতের সময় অনেকটাই কমে আসবে। এখন ১২ ঘণ্টাতেই এক শহর থেকে অন্য শহরে পৌঁছনো যাবে। দিল্লি-মুম্বই এক্সপ্রেসওয়ের মধ্যেকার শহরগুলিও আরও কাছাকাছি আসবে। রবিবার এই এক্সপ্রেসওয়ের সোহনা-দাউনা অংশ উদ্বোধন করবেন মোদী। এর ফলে দিল্লি ও জয়পুরের মধ্যে যাতায়াতের সময় ৫ ঘণ্টা থেকে কমে দাঁড়াবে ৩.৫ ঘণ্টা।

দিল্লি মুম্বই এক্সপ্রেসওয়ের ২৪৬ কিলোমিটার দীর্ঘ দিল্লি-দৌসা-লালসোট অংশটি ১২,১৫০ কোটি টাকারও বেশি খরচে তৈরি করা হয়েছে। আর গোটা দিল্লি-মুম্বই এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য ১,৩৮৬ কিলোমিটার। দেশের দীর্ঘতম এক্সপ্রেসওয়ে হবে এই দিল্লি-মুম্বই এক্সপ্রেসওয়ে। এই এক্সপ্রেসওয়েটি তৈরির জন্য ৫ টি রাজ্য-দিল্লি, হরিয়ানা, রাজস্থান, গুজরাট ও মহারাষ্ট্রের মোট ১৫,০০০ হেক্টর জমি নেওয়া হয়েছে।

এই এক্সপ্রেসওয়ে পুরোপুরি চালু হয়ে গেলে দিল্লি ও মুম্বইয়ের মধ্যে ভ্রমণের দূরত্ব ১২ শতাংশ হ্রাস পাবে। এই দুই শহরের মধ্যেকার দূরত্ব ১,৪২৪ কিলোমিটার থেকে ১,২৪২ কিলোমিটারে নেমে আসবে। আর যাতায়াতের সময় ২৪ ঘণ্টা থেকে কমে দাঁড়াবে ১২ ঘণ্টা। এটি দিল্লি, হরিয়ানা, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট এবং মহারাষ্ট্র- এই ছয়টি রাজ্যের মধ্য দিয়ে যাবে। কোটা, ইন্দোর, জয়পুর, ভোপাল, ভদোদরা এবং সুরাটের মতো প্রধান শহরগুলিকে সংযুক্ত করবে এই এক্সপ্রেসওয়ে।

এক্সপ্রেসওয়েটি পার্শ্ববর্তী সমস্ত অঞ্চলের উন্নয়নে অনুঘটকের কাজ করবে।এইভাবে দেশের অর্থনৈতিক রূপান্তরে একটি বড় অবদান রাখবে দেশের দীর্ঘতম এক্সপ্রেসওয়েটি। মঙ্গলবার দিল্লি-মুম্বই এক্সপ্রেসওয়ের সোহনা-দৌসা অংশ সর্বসাধারণের যাতায়াতের জন্য খুলে দেওয়া হবে। প্রথমে ২০১৮ সালে এই প্রজেক্টের জন্য ৯৮,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। এই এক্সপ্রেসওয়ে তৈরির জন্য মোট ১২ লক্ষ টন স্টিল ব্যবহারের কথা ছিল। হাওড়া ব্রিজ তৈরিতে যা স্টিল ব্যবহৃত হয়েছিল তার ৫০ গুণ স্টিল ব্যবহার হচ্ছে এই এক্সপ্রেসওয়ে তৈরিতে।

এটি ভারত এবং এশিয়ার প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে যেখানে পশুর ওভারপাস, আন্ডারপাসগুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। রণথাম্বোর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে প্রভাব হ্রাস করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, আগামীদিনে এই এক্সপ্রেসওয়েতেই তৈরি করা হবে দেশের প্রথম ইলেক্ট্রিক লেন। যে পথে রেল লাইনের ওভার হেডের মতো করেই টাঙানো হবে ইলেক্ট্রিক তার। যার মাধ্যমে বড় বড় পণ্যপরিবহণকারী ট্রাক ইউরোপের মতো ইলেক্ট্রিকের মাধ্যমে চলতে পারবে। এতে জ্বালানির খরচ যেমন বাঁচবে, তেমনই পরিবেশ দূষণও কম হবে।

- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -