Homeপশ্চিমবঙ্গAnubrata Mondal: `বাঘ’ কেস্ট কি এবার তৃণমূলের জন্য ‘সাদাহাতি’ হয়ে গেল?

Anubrata Mondal: `বাঘ’ কেস্ট কি এবার তৃণমূলের জন্য ‘সাদাহাতি’ হয়ে গেল?

- Advertisement -

কলকাতা: কেউ বলেছিলেন ‘বাঘ’, কেউ বলেছিলেন ‘বীর’, আর সেই অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) তিহাড় জেলে ঢুকতেই তৃণমূলের সুর বদলে গেল। কেস্টর তিহাড়যাত্রা নিয়ে যে তৃণমূল এতদিন দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই চালিয়েছিল, যে কেস্টর তিহাড়যাত্রার বিরুদ্ধে এতদিন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সওয়াল করতেন, সেই কেস্ট তিহাড়ে ঢুকতেই তৃণমূলের কাছে ‘ছোট বিষয়’ হয়ে গেল!

আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, ‘বাঘ’ অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) কি এখন তৃণমূলের কাছে সাদাহাতি হয়ে গেছে? যার খরচ আর এবার টানা মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে? এবার কি তাহলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো করেই অনুব্রত মণ্ডলকেও ছেঁটে ফেলতে চাইছে তৃণমূল? এতদিনে কি তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata Banerjee) বুঝতে পারলেন, এবার বীরভূমে কেস্টকে ছাড়াই তৃণমূলের চলার সময় এসেছে? তিহাড় যাত্রার পর কি তৃণমূল অনুব্রতর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার কথা ভাবছে? নাকি  দিল্লির জেলে বন্দি নেতা গুরুত্ব হারাল শাসক দলের কাছে?

কেউ কেউ বলছেন, অঙ্কটা অতটাও সহজ নয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দুর্নীতিতে অভিযুক্ত নেতার সঙ্গে দূরত্ব শুধুই মানুষ বিভ্রান্ত করার জন্যও হতে পারে, এমনটাই মনে করছেন বিরোধীদের একাংশ। পরে হয়ত অনুব্রত ছাড়া পেলে আবারও তাঁকে সসস্মানে গলায় ফুলের মালা পরিয়ে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে দলে ফিরিয়ে নেওয়া হবে। তবে এবার অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) জেলা সভাপতির পদটি আদৌ থাকবে কি না সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগামী কয়েকদিনের মধ্যে যে বীরভূম সফর – তাতেই স্পষ্ট হয়ে যাবে।

আর সেই কারণেই হয়ত আপাতত রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা অনুব্রত মণ্ডলের তিহাড়যাত্রা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছেন, ‘‘মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে, আর একজন জেলা সভাপতি তো ছোট বিষয়।’’

তবে ওই যে কথায় আছে, হাতির খাওয়ার আর দেখানোর দাঁত এক নয়, সেই রকমই কিছু একটা ‘সাদাহাতি’ কেস্টকে নিয়ে তৃণমূলের মধ্যে কিছু হচ্ছে কি না – এখনই বলা মুশকিল। কেননা, একদিকে যেমন তৃণমূলকে কখনও কেষ্টর মাথা থেকে হাত সরাতে দেখা যায়নি, ঠিক তেমনই দলের ওপরও অগাধ ভরসা রয়েছে অনুব্রতর।

ঘাসফুল শিবির সূত্রে এটাও জানা যাচ্ছে, অনুব্রত মণ্ডল না কি ইডি-কে জেরায় এটাও বলেছেন, ‘আমার কিচ্ছু হবে না। আমার পিছনে দল আছে। আপনারা আমার কিছুই করতে পারবেন না।’ এমন বুকের পাঁটা ক‘জন দেখাতে পেরেছে? আর যাই হোক কেস্টকেই যখন ইডি-সিবিআইয়ের কাঁত করতে এত সময় লাগছে – মাথার কাছে পৌঁছতে নিশ্চয় বছরের পর বছর পেরিয়ে যাবে।

তবে রাজনৈতিক মহল এটাও বলছে, গরু পাচার মামলার অভিযুক্তের মুখে এমন কথা অস্বস্তিতে ফেলেছে ঘাসফুল শিবিরকে। এক্ষেত্রে অনুব্রতর প্রভাব নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। সে কারণেই কি এবার কৌশলি পথে হাঁটছে তৃণমূল?

- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -