Homeপশ্চিমবঙ্গAnubrata Mandol: পাইলস আর ফিশচুলার ব্যথা নিয়ে জেলে কেমন আছেন অনুব্রত মণ্ডল

Anubrata Mandol: পাইলস আর ফিশচুলার ব্যথা নিয়ে জেলে কেমন আছেন অনুব্রত মণ্ডল

- Advertisement -

আসানসোল: পাইলসের অস্ত্রোপচার আগেই হয়েছিল। ফিশচুলার ব্যথাও অনেক কমেছে। কিন্তু তারপরেও অনুব্রত মণ্ডল মিডিয়াকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘‘শরীর ভালো নেই।’’ কেন এমনটা বললেন, এক সময়ের বীরভূমের বেতাজ বাদশা? এর উত্তরে নিন্দুকেরা বলছেন, আসলে জেলে দিন কাটিয়ে ‘ওজন’ কমছে অনুব্রত মণ্ডলের। জেলে যাওয়ার আগে যে অনুব্রত মণ্ডলের ওজন ছিল ১০৯ কেজি ৯ গ্রাম, এখন সেই অনুব্রতরই গত কয়েক মাস ধরে জেলের হাওয়া খেয়ে ওজন হয়েছে ৯১ কেজি। অর্থাৎ এই ক’মাসে অনুব্রত মণ্ডলের ওজন প্রায় ২০ কেজি কমে গিয়েছে। শরীর হালকা ফুরফুরে হয়ে যাওয়াতে অবশ্য কেস্ট খুশি হতে পারছেন না। বরং তাতে তিনি বেশ কষ্টই পাচ্ছেন।

কিন্তু গল্প এখানেই শেষ নয়। নিন্দুকদের মতে, কেস্টদা আসলে নিজের শরীরের ওজনের থেকে তাঁর যে রাজনৈতিক ওজন, সেটা কমে যাওয়া নিয়েই চিন্তিত হয়ে রয়েছেন। জেলে ঢোকার সময় দিদি পাশে দাঁড়ালেও আজও অনুব্রত মণ্ডল জেল থেকে জামিন পাননি। কোনও এক আজব কারণে এখনও তাঁকে তিহারের হাওয়া খেতে হয়নি বটে, কিন্তু আসানসোল জেল থেকেও মুক্তি পাননি। এই পরিস্থিতিতে বীরভূম তৃণমূল অনুব্রত মণ্ডলকে পাশে সরিয়ে রেখে এগোনোর চেষ্টা করছে। খোদ দিদিই অনুব্রত মণ্ডলের বিকল্প হিসেবে কেস্ট বিরোধী হিসেবে পরিচিত কাজল মণ্ডলকে বীরভূমে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে।

এমনকী, যেসব ফ্যান ফলোয়াররা এতদিন আদালত যাওয়ার পথে কিংবা হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষার সময় বাইরে দাঁড়িয়ে ‘পরামর্শ’ নিতেন, তাঁদেরও আজকাল প্রায় দেখা যাচ্ছে না। অর্থাৎ ইঙ্গিত পরিস্কার। যত সময় গড়াচ্ছে বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলের মুঠো ঢিলে হচ্ছে। জেলে বসে এক আধজন ‘ফোন করে’ কতদিন আর নিজের খালি সিংহাসন দখলে রাখা যায়। এটা তো আর সত্যযুগ নয় যে রাম বনবাসে গেছে বলে ভরত-শত্রুঘ্নরা দাদার সিংহাসনে পাদুকা পুজো করবে! সুতরাং অনুব্রত মণ্ডলের মন ভালো নেই।

তবে সোমবার ঘণ্টা খানেক পরীক্ষার পর আসানসোলের হাসপাতাল সুপার বলেন, ‘‘আজ অনুব্রত মণ্ডলকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আনা হয়েছিল। হাসপাতালে প্রয়োজনীয় যা কিছু করার তা হয়েছে। ফিজিশিয়ান এবং সার্জনকে দেখানো হয়েছে। ওঁনারা খুব দক্ষ। দীর্ঘ দিন এখানে আছেন। ভাল করে পরীক্ষা করে তাঁরা তাঁদের মতামত দিয়েছেন। তাঁদের কথা অনুযায়ী, আপাতত ওঁর জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। যে সব ওষুধ উনি দীর্ঘ দিন ধরে খাচ্ছেন তাই খাবেন। যদি প্রয়োজন হয় জরুরি চিকিৎসা হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ওঁর পাইলস এবং ফিশ্চুলা আছে। পাইলসের অস্ত্রোপচার হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে। ফিশ্চুলার ব্যথা কমেছে। সার্জন দেখেছেন। জরুরি পরিস্থিতি নয়।’’

- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -