Homeপশ্চিমবঙ্গAbbas Siddiqui: অভিষেকের কাছ থেকে ‘হীরে’ ছিনিয়ে নিতে আসরে আব্বাস সিদ্দিকি

Abbas Siddiqui: অভিষেকের কাছ থেকে ‘হীরে’ ছিনিয়ে নিতে আসরে আব্বাস সিদ্দিকি

- Advertisement -

কলকাতা – এর আগে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ভাই। এবার হুঙ্কার ছাড়লেন খোদ দাদা! নওশাদ সিদ্দিকির মতো করেই এবার পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকিও (Abbas Siddiqui) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রটি ছিনিয়ে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন।

আব্বাসের ভাই নওশাদ সিদ্দিকি ভাঙড়ের আইএসএফ (Indian Secular Front)-এর বিধায়ক। ইতিমধ্যেই তিনি ঘোষণা করেছেন, তাঁর দল চাইলে তিনি ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে প্রার্থী হবেন। এ বার আসরে নামলেন দাদা আব্বাসও (Abbas Siddiqui)।

সম্প্রতি ডায়মন্ড হারবারের একটি কর্মসূচি থেকে অভিষেক বলেছিলেন, ‘‘অনেকে বলছেন ভোটে দাঁড়াবেন। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ভোটে দাঁড়ানোর অধিকার সবার রয়েছে।’’ শুধু তা-ই নয়, অভিষেক এ-ও বলেছিলেন, ‘‘পারলে দিল্লি, গুজরাত থেকে কাউকে এনেও এখানে (ডায়মন্ড হারবারে) দাঁড় করাতে পারেন।’’

এবার সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে আব্বাস সিদ্দিকিকে (Abbas Siddiqui) বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘এই ডায়মন্ড হারবারে আমরা যদি প্রার্থী দিই, তা হলে আপনারা জেতাবেন তো? আমায় দেখে ভোট দেবেন। জেতালে প্রতি মাসে আমি এখানে (ডায়মন্ড হারবারে) আসব। সমস্যা শুনব। এবং এক মাসের মধ্যে সমস্যার সমাধান করব।’’

প্রসঙ্গত, বাংলায় যে কয়েকটি আসনে সংখ্যালঘু ভোট ফলাফলের ক্ষেত্রে ‘নির্ণায়ক’, তার মধ্যে অন্যতম ডায়মন্ড হারবার। এই লোকসভা কেন্দ্রে ৫৩ শতাংশ মুসলিম ভোটার। এই লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভার মধ্যে মেটিয়াবুরুজ বাদ দিয়ে বাকি সব কেন্দ্রে (ডায়মন্ড হারবার, ফলতা, বিষ্ণুপুর, বজবজ, মহেশতলা, সাতগাছিয়া) বাঙালি মুসলিমই বেশি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের বক্তব্য, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশির ভাগ এলাকাতেই বাঙালি মুসলিমদের মধ্যে ফুরফুরা শরিফের ‘প্রভাব’ রয়েছে। সম্ভবত সেই অঙ্ক থেকেই পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি (Abbas Siddiqui) ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে এতটা উৎসাহী।

যদিও গত পুর ও পঞ্চায়েত ভোটে ডায়মন্ড হারবার এলাকায় বিরোধীরা তেমন ভাবে দাঁত ফোটাতে পারেনি। আইএসএফ-সহ বিরোধীদের পাল্টা বক্তব্য, পঞ্চায়েত বা পুরসভায় ডায়মন্ড হারবারে কোনও ভোটই হয়নি। যা হয়েছে তাকে ‘লুট’ বলে।

তবে আব্বাস সিদ্দিকির এ হেন ‘হুঙ্কার’ শুনে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূলও। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সোমবার বলেন, ‘‘এটা এখন নওশাদ বনাম আব্বাস হচ্ছে। নওশাদ বলেছিলেন দাঁড়াবেন। এখন আব্বাস বলছেন, তাঁর প্রার্থীকে জেতাতে। আসলে কে বড় তার লড়াই চলছে।’’ সেই সঙ্গে কুণাল এ-ও বলেন, ‘‘ক্ষমতা থাকলে আব্বাস নিজে ভোটে লড়ুক না দেখি! চার লক্ষ ভোটে হারাব।’’

আসলে একটা সময়ে বাংলায় সংখ্যালঘু ভোটে বামেদের একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। কিন্তু ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত ভোট থেকে তার ক্ষয় হতে শুরু করে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ হাতছাড়া হয় সিপিএমের। এই জেলায় ক্ষমতা দখল করে তৃণমূল।

পাশাপাশি, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদও সে বার দখল করেছিল জোড়াফুল শিবির। তার পর ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচন থেকে সংখ্যালঘু ভোট বাক্স বদল করে চলে যায় তৃণমূলের দিকে। গত এক দশকের বেশি সময় ধরে যা কার্যত তৃণমূলের পুঁজিতে পরিণত হয়েছে।

কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য নিজের গড় ধরে রাখা অতটা সহজ হবে না। আব্বাস-নওশাদরা সত্যিই যদি ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী হন, তাহলে তৃণমূলের মুসলিম ভোট ভাগাভাগি হবেই। আর এতে ভোট কমবে অভিষেকের। কিন্তু অন্যদিকে এর ফায়দা হবে বিজেপির।

- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -