Homeভারতসাংসদদের সাসপেন্ডের ঘটনায় নরেন্দ্র মোদীর দশা রাজীব গান্ধীর মতো হবে না তো?

সাংসদদের সাসপেন্ডের ঘটনায় নরেন্দ্র মোদীর দশা রাজীব গান্ধীর মতো হবে না তো?

- Advertisement -

নয়াদিল্লি – গত ১৩ ডিসেম্বর সংসদ হানার ঘটনা ঘটে। তার পর থেকে একের পর এক বিরোধী সাংসদ লোকসভা থেকে সাসপেন্ড হচ্ছেন। লোকসভা থেকে আরও তিন বিরোধী দলের সাংসদকে সাসপেন্ড করা হল বৃহস্পতিবার। স্পিকার ওম বিড়লা লোকসভায় অসংসদীয় আচরণের জন্য ওই সাংসদদের সাসপেন্ড করেছেন। এই নিয়ে লোকসভা থেকে সাসপেন্ড হওয়া সাংসদের মোট সংখ্যা‌ বেড়ে হল ১৪৬।

লোকসভার নিরাপত্তায় গলদ প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। ওই ঘটনা নিয়ে সভায় আলোচনার দাবিও তোলেন। তার জেরে লোকসভায় গোলমাল হয়। অসংসদীয় আচরণের অভিযোগ ওঠে একাধিক সাংসদের বিরুদ্ধে। স্পিকার তাঁদের সাসপেন্ড করেন।

গত কয়েক দিনে পর পর সাসপেন্ডের ফলে লোকসভা প্রায় বিরোধীশূন্য হয়ে গিয়েছে। যাতে সমালোচনার ঝড় উঠেছে নানা মহলে। এর মাঝে কার্যত বিরোধীশূন্য লোকসভায় বুধবার পাশ হয়ে গিয়েছে নতুন টেলিকম বিল। এই ঘটনার সমালোচনা করে বিরোধীদের অভিযোগ, সরকার পক্ষ সংসদে বিরোধী কোনও সদস্যকে চায় না। তাই তাদের অনুুপস্থিতিতে বিল পাশ করানো হচ্ছে। একে ‘ক্রিকেট মাঠে কোনও ফিল্ডার ছাড়া ব্যাটিং করা’র সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।

চার দিনে লোকসভা এবং রাজ্যসভা মিলিয়ে সাসপেন্ড সাংসদের সংখ্যা ১৪৬! ভারতের সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাস বলছে, দ্বিতীয় নরেন্দ্র মোদীর সরকারের আমলের সংসদের শেষ শীতকালীন অধিবেশন নতুন নজির গড়েছে সাংসদ সাসপেনশনে। ভেঙে দিয়েছে, ১৯৮৯ সালে প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর জমানার শেষ বাজেট অধিবেশনের ‘রেকর্ড’।

১৯৮৪ সালে ইন্দিরা গান্ধীর হত্যার তদন্তে গঠিত ঠক্কর কমিশনের রিপোর্ট পেশের দাবিতে রাজীবের জমানায় দাবি উঠেছিল সংসদে। ১৯৮৯ সালের মার্চে বাজেট অধিবেশনের সময় সংসদে রিপোর্ট পেশের আগেই তা ফাঁস হয়ে যায় সংবাদপত্রে। তাতে দেখা যায়, ইন্দিরা হত্যার ষড়যন্ত্রে কমিশনের সন্দেহের তালিকায় থাকা কংগ্রেস নেতা আরকে ধওয়ান রাজীবের ‘টিমে’ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন।

বিরোধী সাংসদেরা এই বিষয় দু’টিকে হাতিয়ার করে সংসদে বিক্ষোভ জানাতে থাকেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে দু’কক্ষের মোট ৬৩ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল সে সময়। ওই ঘটনার কয়েক মাস পরেই লোকসভা ভোটে জনতা দল, বিজেপি, বামেদের বিরোধী জোট ‘ন্যাশনাল ফ্রন্ট’ (জাতীয় মোর্চা)-এর কাছে হেরে গিয়েছিল কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রিত্ব হারিয়েছিলেন রাজীব।

প্রশ্ন হচ্ছে, সেই রকমই কোনও অঘটন ২০২৪ এর লোকসভা ভোটে হবে না তো? বিজেপির নেতারা যাই বলুন না কেন, কংগ্রেস কিন্তু সেই রকমই কিছু একটা আশা করছে। কংগ্রেস সূত্রে খবর, মোদী সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরতে দ্বিতীয় দফায় ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রা শুরু করতে চলেছেন রাহুল গান্ধী। তাঁর এই যাত্রায় বিশেষ গুরুত্ব পাবে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্য। অর্থাৎ যে রাজ্যগুলিতে বিজেপির ভিত মজবুত এবার সেই রাজ্যগুলিকেই টার্গেট করতে চান রাহুল গান্ধী।

- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -