কলকাতা – মদ খেয়ে প্রতিবেশী মহিলার ঘরে ঢুকে পড়ায় এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার এন্টালি থানা এলাকায়। শনিবার ভোরবেলা মত্ত অবস্থায় প্রতিবেশী মহিলার ঘরে ঢুকে পড়ার অভিযোগ ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে নেমে রবিবার অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে এন্টালি থানার পুলিশ।
ঠিক কি ঘটেছিল? অভিযোগ, এন্টালি থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ার রাতে মদ্যপান করে আচমকাই প্রতিবেশী মহিলার ঘরে ঢুকে পড়েন। তাঁকে দেখতে পেয়ে প্রথমে ভয় পান ওই মহিলা। পরে চিৎকার এবং কান্নাকাটি করে অন্য প্রতিবেশীদের ডাকেন। মহিলার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা জড়ো হতেই ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেন অভিযুক্ত।
এরপর অভিযুক্তের নামে এন্টালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। রবিবার অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। তবে, কেন তিনি এমন কাণ্ড ঘটালেন, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ।
তবে অভিযোগকারিণীর সঙ্গে অভিযুক্তের কোনও পূর্ব পরিচিতি ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্তও।
উল্লেখ্য, আরজি কর-কাণ্ডের পর থেকেই রাজ্যে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে নানা অভিযোগ সামনে আসছে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় ‘মূল অভিযুক্ত’ হিসাবে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে তাঁকে সিবিআইকে হস্তান্তরিত করা হয়।
তার পর রাজ্যে ঘটে যাওয়া একাধিক অপরাধের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ারদের। শ্লীলতাহানি বা দাদাগিরির মতো অভিযোগ ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে। আরজি কর-কাণ্ডের আবহে শুরু হওয়া আন্দোলনের অন্যতম দাবিই ছিল, হাসপাতাল, কলেজের নিরাপত্তার দায়িত্ব থেকে সিভিক ভলান্টিয়ারদের সরানোর। এমনকি সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিদায়ী প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের প্রশ্নের মুখে পড়েছিল রাজ্য সরকার। তাদের নিয়োগ, বেতন, ভূমিকা ইত্যাদি প্রশ্নে বিদ্ধ হয়েছিল রাজ্য। সেই আবহে এ বার গ্রেফতার হলেন কলকাতার এই সিভিক ভলান্টিয়ার।
স্বাভাবিকভাবেই নতুন করে আরেক জনের বিরুদ্ধে এধরনের অভিযোগ ওঠায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজ-কর্ম নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠে গেল।