Homeখবরছক ভেঙে হাসিনাকে বাড়িতে আপ্যায়ন মোদীর, শুক্রবার বিকেলে মুখোমুখি বৈঠক

ছক ভেঙে হাসিনাকে বাড়িতে আপ্যায়ন মোদীর, শুক্রবার বিকেলে মুখোমুখি বৈঠক

- Advertisement -

নয়া দিল্লি – বাংলাদেশকে আন্তরিকতার বার্তা দিতে চায় ভারত। সেই কারণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে শুক্রবার বিকেলে নিজের বাসভবনে বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সাধারণত এধরনের বৈঠক নয়া দিল্লির হায়দরাবাদ হাউস অথবা সাউথ ব্লকেই হওয়ার নিয়ম। কিন্তু সেই ছক ভেঙে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আলাপচারিতা করবেন নিজের বাসভবন, ৭ লোককল্যাণ মার্গে।

শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতে আসবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। এ ছাড়া রেলমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীরও আসার কথা রয়েছে।

ভারত এবং বাংলাদেশের কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ টালবাহানার পর এই বৈঠক চূড়ান্ত হয়েছে। জি–২০ শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের বিশেষ আমন্ত্রিত দেশের কর্ণধার হিসেবে যোগ দিতে শেখ হাসিনা ওই দিনই দুপুরে দিল্লি আসবেন। বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এটাই হবে শেষ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক। সে কারণে এ বৈঠক নিয়ে যথেষ্ট আগ্রহ দুই দেশেই রয়েছে।

কিন্তু বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে কোনো চুক্তি কিংবা প্রকল্পকেন্দ্রিক বিশেষ বোঝাপড়া কী হবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। যদিও কিছুদিন ধরেই দুই দেশের মধ্যে ‘ফ্রেমওয়ার্ক অ্যাগ্রিমেন্ট’ ও দুই দেশের বাণিজ্য রুপিতে করার জন্য ‘জিটুজি রুপি লোন’ নিয়ে আলোচনা চলছে। তিস্তা নদীর জল বন্টনের বিষয়টিও রয়েছে। চলতি বছরের মার্চে তিস্তার জল প্রত্যাহার করা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে দুটি খাল খননের বিষয়ে কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে নয়া দিল্লির কাছে জানতে চেয়েছিল ঢাকা। কিন্তু প্রায় পাঁচ মাস সময় পার বলেও এই নিয়ে দিল্লির কাছে কোন বাংলাদেশ পায়নি।

ঢাকার তরফে জানানো হয়েছে, এর আগে ২০১৫সালে যখন নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশে গিয়েছিলেন সেই সময়েও জল পাওয়ার ব্যাপারে চরম আশাবাদী ছিল হাসিনা সরকার। কিন্তু সেবার এই নিয়ে আলোচনা এগোয়নি। এবার দিল্লিতে হাসিনা এবং মোদীর মধ্যে বৈঠকে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে তিস্তার জলবণ্টন বিষয়টি প্রাধান্য পাবে বলে জানিয়েছে ঢাকা।

যদিও শনিবার সকাল থেকে নয়া দিল্লিতে যে জি২০ দেশগুলির শীর্ষ সম্মেলন শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ তার সদস্য নয়। কিন্তু ভারত জি২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব পাওয়ার পরই মোদী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশকেই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত, যা দুই দেশের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছনোর দৃষ্টান্ত বলেই ধরছে কূটনৈতিক মহল।

সূত্রের খবর, হাসিনা দক্ষিণ কোরিয়া, আর্জেন্টিনা ও সৌদি আরবের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। বাংলাদেশে নির্বাচনের মুখে যখন আমেরিকা আওয়ামী লীগ সরকারের উপরে বিভিন্ন ভাবে প্রবল চাপ তৈরি করছে, তখন নয়াদিল্লিতে সফরকারী আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গেও কি বৈঠক হবে হাসিনার? এই প্রশ্নের উত্তর এখনই দিতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট কর্তারা। তবে নৈশভোজে এবং সম্মেলন কক্ষে বাইডেনের সঙ্গে হাসিনার ‘দেখা হয়ে যাবে’ বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা।

অন্যদিকে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার বৈঠক করবেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁর সঙ্গেও। ফরাসি প্রেসিডেন্ট দিল্লি থেকেই চলে যাবেন ঢাকা। সেই কারণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও জি২০ শীর্ষবৈঠক শেষ করেই স্বদেশে ফিরবেন।

- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -