Homeখবররেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার আরেক তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্য

রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার আরেক তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্য

- Advertisement -

কলকাতা – রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হল আরেক তৃণমূল নেতা। নাম শঙ্কর আঢ্য। ধৃত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের লেখা চিঠির সূত্র ধরেই এই তৃণমূল নেতাকে শুক্রবার গভীর রাতে গ্রেফতার করে ইডি। শনিবার শঙ্কর আঢ্যকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলে ইডি। আদালত এদিন ইডির আর্জি অনুযায়ী এই তৃণমূল নেতাকে ১৪ দিনের হেফাজতের আদেশ দিয়েছে।

রেশন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এখন এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি। কিন্তু হাসপাতালে থাকার সময়ে গোপনে তিনি কোন খেলা খেলছেন তা ইডির কথাতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। শনিবার ইডি দাবি করেছে, হাসপাতালে চিঠির মাধ্যমে জ্যোতিপ্রিয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। সেই চিঠি তাদের হাতে এসেছে। আর সেই চিঠির ভিত্তিতেই শঙ্কর আঢ্যকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং গ্রেফতার।

বাংলা এবং ইংরেজি মিশিয়ে লেখা ছিল সেই চিঠি। ১৯ ডিসেম্বর জ্যোতিপ্রিয়কে জেরা করা হয় যখন, তখন তিনি সেই চিঠির কথা স্বীকার করেন। তাতে একাধিক জনের নাম উল্লেখ রয়েছে বলেও দাবি ইডির। ইডি আরও দাবি করেছে, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ১৬ ডিসেম্বর জ্যোতিপ্রিয়ের ঘর থেকে সিসি ক্যামেরা খোলা হচ্ছিল। সেই সময় ওই চিঠি মেয়েকে দিচ্ছিলেন জ্যোতিপ্রিয়।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা দাবি করছেন, বাবা-মেয়ের মধ্যে এই চিঠি বিনিময় হয়েছিল। সেই চিঠি ধরে ফেলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যেরা। হাসপাতালে জ্যোতিপ্রিয়ের নিরাপত্তায় বহাল ছিলেন সিআরপিএফ জওয়ানেরা। তাঁদের মাধ্যমেই ইডির হাতে চিঠিটি এসেছে বলে দাবি। ইডি আরও দাবি করেছে, ওই চিঠিতে ‘বিস্ফোরক’ তথ্য রয়েছে।

শুক্রবার গভীর রাতে শঙ্করের গ্রেফতারির পর তাঁর স্ত্রী জ্যোৎস্নাও জানিয়েছিলেন, জ্যোতিপ্রিয়ের সূত্র ধরেই তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘শুক্রবার রাত ১২টা ১৫ মিনিটে এক জন অফিসার এলেন। এসে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাগজ দেখালেন। বললেন, জ্যোতিপ্রিয় আপনার নাম বলেছে। বা কেউ বলেছে। তার জন্য গ্রেফতার করল।’’

এর পরেই জ্যোৎস্না জানিয়েছেন, সারা দিন শঙ্করের সঙ্গে ব্যবসার বিষয়ে ইডি অফিসারেরা কথা বললেও জ্যোতিপ্রিয় নিয়ে কোনও কথা বলেননি। সব রকম সহযোগিতার পরেও রাত সাড়ে ১২টার সময় গ্রেফতার করা হয় তাঁর স্বামীকে।

জ্যোৎস্না আরও বলেন, ‘‘জ্যোতিপ্রিয় জেলার সভাপতি ছিলেন। সকলের কাছেই আসতেন। আমরাও যেতাম। এখন দেখছি নাটক। সারা দিন সহযোগিতা করলাম। শেষে এক জন অফিসার ব্যাগ থেকে কাগজ বার করে দেখালেন এবং বললেন জ্যোতিপ্রিয়ের জন্য গ্রেফতার করলাম।’’

যদিও পরে সংবাদ মাধ্যমে জ্যোৎস্না দাবি করেন, তাঁর স্বামী না কি এক্কেবারে নির্দোষ।

- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -