Homeপশ্চিমবঙ্গ‘নুসরতকে কখনও দেখিইনি’, ইডির ডাক পেতেই উলটো সুর গাইলেন অভিনেত্রী

‘নুসরতকে কখনও দেখিইনি’, ইডির ডাক পেতেই উলটো সুর গাইলেন অভিনেত্রী

- Advertisement -

কলকাতা – সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহানের পর বুধবার ‘সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড’ সংস্থার আরও এক ‘ডিরেক্টর’ তথা অভিনেত্রী রূপলেখা মিত্রকে তলব করে ইডি। আর তারপরই রূপলেখা সংবাদ মাধ্যমে দাবি করেন, তিনি না কি নুসরত জাহানকে কখনও দেখেননি। তাঁরা যে একই সংস্থায় ছিলেন, তা-ও জানতেন না।

সংবাদ মাধ্যমের তরফে রূপলেখার কাছে জানতে চাওয়া হয়, নুসরতের সঙ্গে রূপলেখার কি কথা হয়েছে? তিনি কী বলেছেন? প্রশ্নের উত্তরে রূপলেখা বললেন, ‘‘সংস্থায় কে কে ছিলেন, তা আমি জানি না। নুসরতকে এক দিনও দেখিনি।’’ নুসরত যে সেই সংস্থার সঙ্গে ছিলেন, তা-ও রূপলেখার জানা ছিল না বলে দাবি।

রূপলেখা সংবাদ মাধ্যমকে আরও জানান, ২০১১ সালে ওই সংস্থা তৈরি হয়েছিল। সংস্থা মূলত জমি সংক্রান্ত কাজ করত। তবে তাঁর দাবি, পরিষ্কার করে তিনিও জানেন না কী কী বিষয়ে কাজ হত সেখানে। অথচ, তথ্য বলছে যে ‘সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড’ সংস্থায় থাকা নিয়ে নুসরতের ফ্ল্যাট বিতর্ক, তাতে রাকেশ সিংহ এবং নুসরতের মতোই এই রূপরেখাও ‘ডিরেক্টর’ ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১১ সালে সংস্থাটি তৈরি হওয়ার সময়ে ডিরেক্টর পদে যোগ দেন তিনি। যদিও ওই সংস্থায় তাঁর কোনও রকম সাইনিং অথরিটি ছিল না বলেই দাবি করলেন রূপলেখা। অর্থাৎ, সংস্থার তরফে কোনও রকম স্বাক্ষর করার অধিকার তাঁর ছিল না বলেই দাবি রূপলেখার।

তবে ইডির তলব পাওয়ার পর থেকেই যে রূপলেখা বেশ টেনশনে আছেন, সেটা অবশ্য বেশ বোঝা গিয়েছে। সংবাদা মাধ্যমের জবাবে তিনি তলব প্রসঙ্গে বলেন, “২০১৭ সালে আমি ইস্তফা দিয়ে ওই সংস্থা থেকে বেরিয়ে এসেছি। এখন যদি আমাকে ছ’বছর আগের নথি দেখাতে বলা হয়, আমি কোথা থেকে দেখাব? আমি ইডির আধিকারিকের কাছে আর্জি জানাব, যদি একটু সময় দেওয়া যায়। কারণ, সে সব নথি জোগাড় করার পর্যাপ্ত সময় আমাকে দিতে হবে।”

রূপলেখার আরও বক্তব্য, “এত দিন জানতাম ইডি শহরের বড় মাথাদের লক্ষ্য করে। এখন তো দেখছি তারা মাটির কাছে নেমে এসেছে। আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারও তাদের নিশানা। তবে আমি অবশ্যই যাব হাজিরা দিতে। কিন্তু নথি জোগাড় করার সময় দিতে হবে আমাকে।”

উত্তর কলকাতার মেয়ে রূপলেখা। তাঁর মা এবং বাবা দু’জনেই সরকারি চাকরি করতেন। বেশ অনেক দিন হল অবসর নিয়েছেন তাঁরা। রূপলেখার পড়াশোনা, বেড়ে ওঠা সবটাই উত্তর কলকাতায়। ২০১১ সালে মুক্তি পায় শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ‘ইচ্ছে’ ছবি। তাতে দেবযানী চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন রূপলেখা। বুধবার তিনি বলেন, “ওই ছবির পর এক-দু’টো ছবিতে অভিনয় করেছি। কিন্তু সিনেমার পরিবেশ আমার একদমই ভাল লাগেনি। তাই অনেক বছর হল অভিনয় ছেড়ে দিয়েছি।” এখন নিজের ছোট ব্যবসা নিয়েই ব্যস্ত থাকেন বলে জানিয়েছেন রূপলেখা। উত্তর কলকাতায় তাঁর অফিস।

তাঁর আরও দাবি, “আমার মা-বাবা দু’জনেরই বয়স হয়েছে। আচমকা এমন খবরে আমার নাম জড়ানোয় চিন্তিত তাঁরা। আমার এক্সপোর্ট-ইমপোর্টের একটা ছোট ব্যবসা রয়েছে। ২০১৭ সালে ওই সংস্থা থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর নিজের ব্যবসা তৈরি করি।” ২০২০ সালে নতুন ভাবে নিজের ব্যবসা তৈরি করেন রূপলেখা।

আর এখানেই ইডির সন্দেহ, ‘সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড’-এ থাকার সময় বয়স্ক লোকেদের ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে যে টাকা তছরূপের অভিযোগ উঠছে, তাতে রূপলেখার নতুন ব্যবসার টাকা জোগাড়ের ব্যাপার নেই তো? আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা রূপলেখার।

- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -