Homeখবর‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একলা চলোর বদলে জোটেই ভরসা মমতার

‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একলা চলোর বদলে জোটেই ভরসা মমতার

- Advertisement -

কলকাতা – ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’ এর আমন্ত্রণে শেষ পর্যন্ত দিল্লি যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জি–২০ শীর্ষ সম্মেলন শুরু হওয়ার ঠিক আগে দেশের রাষ্ট্রনেতাদের সম্মানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু নৈশভোজের আয়োজন করছেন। তাতেই যোগ দিতে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর দিল্লি যাচ্ছেন মমতা। নবান্ন সূত্রে অন্তত তেমনটাই খবর।

এই নৈশভোজেরই যে আমন্ত্রণ পত্র তাতে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’র বদলে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’ লেখা ছিল। যা নিয়ে মঙ্গলবার থেকে দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। দেশের মোদী বিরোধীদলগুলির শীর্ষ নেতা–নেত্রীরা এই আমন্ত্রণপত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। কারণ সেখানে ইন্ডিয়ার পরিবর্তে ভারত লেখা রয়েছে। দেশের নাম বদল করে দেওয়া হচ্ছে বলে সরব হন অনেকেই। তাতে বাদ যাননি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বিতর্ককে পাশে সরিয়ে রেখে তিনি জি–২০ শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির নৈশভোজে যোগ দেবেন বলে জানা যাচ্ছে।

যদিও শুধু মমতা একা নন, ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’-এর আমন্ত্রণে মোদী বিরোধী জোটের সবদলের নেতারাই না কি রাষ্ট্রপতির নৈশভোজে হাজির হবেন। তৃণমূল সূত্রে খবর, এনিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের সঙ্গে কথা ফোনে কথা বলেছেন। সবাই মিলে একমত হয়েই রাষ্ট্রপতির এই আমন্ত্রণে সাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে, বিরোধী জোটের নেতারা যা করবেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেটাই করতে চান। আমন্ত্রণ পত্রে যতই ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’ দেখে তিনি চমকে যান না কেন, কিংবা তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করুন না কেন, এনিয়ে আগ বাড়িয়ে মুখ ঘুরিয়ে একা একা বসে থাকা যে ঠিক হবে না, সেটা বেশ বুঝতে পেরেছেন মমতা। আর সেই কারণেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘প্রেসি়ডেন্ট অফ ভারত’ নিয়ে যতই আপত্তি থাক না কেন, মমতা বন্দ্যােপাধ্যায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর নৈশভোজে অন্যদের মতোই যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এদিকে, ৯ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রপতির নৈশভোজে যোগ দিয়েই কলকাতা ফিরে আসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেননা, ১১ তারিখে তাঁর বিদেশ সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে। তিনি এবারের বিদেশ সফরে স্পেন এবং দুবাই যাবেন। মূলত বিদেশী লগ্নির খোঁজেই মুখ্যমন্ত্রীর এবারের এই দুবাই যাত্রা বলে দাবি করছে শাসকদল তৃণমূল। কিন্তু বিরোধীরা কটাক্ষ করে অন্য কথা বলছেন।

বিরোধীদের দাবি, লগ্নি-ফগ্নি নয় – আসলে এত সিবিআই-ইডির তদন্তের চাপ থেকে কিছুটা মানসিক ক্লান্তি দূর করতেই স্পেন এবং দুবাই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেননা, বিদেশি লগ্নির খোঁজের নামে এর আগেও তিনি বহুবার বিদেশ সফর করেছেন। কিন্তু সেইসব সফরে ছুটির মেজাজে কাটানো কিছু ছবি ছাড়া বাংলার কপালে কিছুই জোটেনি। অতএব বিরোধীদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর এবারের বিদেশ সফরে পশ্চিমবঙ্গের কপালে কোনও শিল্প জুটুক বা না জুটুক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সোশাল মিডিয়ার অ্যাকান্টে বিদেশ ভ্রমণের ছবি অবশ্যই শোভা পাবে।

- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -