Homeরাজনীতিডিওয়াইএফআইয়ের ব্রিগেডের আগে বার্তা দিলেন প্রবীণ সিপিএম নেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

ডিওয়াইএফআইয়ের ব্রিগেডের আগে বার্তা দিলেন প্রবীণ সিপিএম নেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

- Advertisement -

কলকাতা – ডিওয়াইএফআইয়ের ব্রিগেডের আগে বার্তা দিলেন প্রবীণ সিপিএম নেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। রবিবার সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-এর ব্রিগেড সমাবেশ। সেই সমাবেশের ঠিক আগে শনিবার রাতেই বালিগঞ্জের পাম অ্যাভিনিউয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বাসভবনে গেল যুব সংগঠনের রাজ্য নেতৃত্ব।

শারীরিক অসুস্থতার কারণে এখন আর বাড়ির বাইরে বার হন না বুদ্ধদেব। সমাবেশেও যে যোগদান করতে পারবেন না তিনি, তা-ও জানা ডিওয়াইএফআই নেতৃত্বের। তাই দীনেশ মজুমদার ভবনের তরফে ব্রিগেড সমাবেশের জন্য একটি বার্তা চাওয়া হয়েছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।

ডিওয়াইএফআই সর্বভারতীয় সংগঠন হওয়ার আগে বাংলারই সংগঠন ছিল। সেই সংগঠনের নাম ছিল ডিওয়াইএফ। ১৯৬৭ সালে তৈরি সেই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন বুদ্ধদেব। তাই তাঁর বার্তা পশ্চিমবঙ্গের ডিওয়াইএফআই সংগঠনের কাছে তাঁর বার্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সম্মতি মেলায় রাতেই তাঁর কাছে বাসভবনে পৌঁছে যান সিপিএমের যুব নেতা-নেত্রীরা। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যান ডিওয়াইএফআই রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা, রাজ্য সম্পাদক মিনাক্ষী, পত্রিকা সম্পাদক কলতান দাশগুপ্ত প্রমূখ।

সূত্রের খবর, তাঁদের হাতেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা তুলে দেওয়া হয়েছে। রবিবারের সভায় সিপিএমের যুবদের জন্য বুদ্ধদেবের পাঠানো বার্তা পাঠ করা হতে পারে। সেখানেই স্পষ্ট হয়ে যাবে, বাম মনোভাবাপন্ন রাজ্যের মানুষের প্রতি তিনি কী বার্তা দিতে চেয়েছেন। বুদ্ধদেবের বাড়ি থেকে বেরিয়ে মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘উনি আমাদের হাত ধরে বলেছেন রবিবার ভাল ব্রিগেড হবে। বড় ব্রিগেড হবে।’’

প্রসঙ্গত, বুদ্ধদেব শেষ বার ব্রিগেডে হাজির হয়েছিলেন ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি। তার আগে থেকেই তিনি গৃহবন্দি। সেই সভায় পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়ি থেকে এসে মঞ্চের নীচে গাড়িতেই বসেছিলেন বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা। নাকে লাগানো ছিল অক্সিজেনের নল। মিনিট ১৫ থেকেই ফের ফিরে গিয়েছিলেন বাড়িতে।

- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -