Homeপশ্চিমবঙ্গমীনাক্ষীদের ব্রিগেডে রবিবার বিশেষ গুরুত্ব পেল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর লিখিত বার্তা

মীনাক্ষীদের ব্রিগেডে রবিবার বিশেষ গুরুত্ব পেল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর লিখিত বার্তা

- Advertisement -

কলকাতা – শনিবারই পাম অ্যাভিনিউর বাড়ি থেকে মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে বুদ্ধদেব বলেছিলেন, ‘বড় ব্রিগেড হবে রবিবার।’ সিপিএম নেতারা বলছেন, হয়েছেও তাই। আর তাই বিশেষ গুরুত্ব দিয়েই এদিন ব্রিগেডের মাঠে পড়ে শোনানো হল সিপিএম প্রবীণ নেতার লিখিত বার্তা।

মিনাক্ষীর নিজের ভাষণ দেওয়া হয়ে গিয়েছিল আগেই। রবিবার ব্রিগেডে শেষ বক্তা ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তাঁর বক্তৃতার পরেই সমাবেশ শেষ হবে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু সেলিম মঞ্চ থেকে নামার পরে আবার মঞ্চে ওঠেন মিনাক্ষী। ঘোষণা করা হয়, তিনি বুদ্ধদেবের বার্তা পাঠ করবেন।

মিনাক্ষী বলেন, ‘কমরেড বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য আমাদের ডিওয়াইএফআই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রাক্তন সম্পাদক। তাঁর বাড়িতে আমরা শনিবার গিয়েছিলাম। লড়াইয়ের উষ্ণতা নিয়েই ফিরেছি। ওঁর বার্তা উনি ওঁর স্ত্রী এবং মেয়ের মাধ্যমে আমাদের কাছে পাঠিয়েছেন। এটাই আমাদের লড়াইয়ের ডাক। এটাই ডিওয়াইএফআইকে উজ্জীবিত করেছিল।’

এর পর রবীন্দ্রনাথের একটি গানের তিনটি লাইন পাঠ করেন মিনাক্ষী— ‘যেখানে ডাক পড়ে, জীবন মরণ ঝড়ে, আমরা প্রস্তুত।’ বুদ্ধদেবের বার্তায় বলা হয়, ‘এটাই ডিওয়াইএফআই। সুতরাং ব্রিগেডের সমাবেশ সাফল্যমণ্ডিত হবে।’

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা পাঠ করে মিনাক্ষী বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রাক্তনী, সংগঠকের সুস্থতা কামনা করছি।’ উল্লেখ্য, ব্রিগেডে রবীন্দ্রগানের যে তিনটি পঙ্‌ক্তি মিনাক্ষী পাঠ করলেন, তা ‘আমরা নূতন যৌবনের দূত’ গানটির অংশ। এই গান রবি ঠাকুরের ‘তাসের দেশে’ নাটকে ব্যবহার করা হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য শেষ বার ব্রিগেডে হাজির হয়েছিলেন ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি। তার আগে থেকেই তিনি গৃহবন্দি। সেই সভায় পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়ি থেকে এসে মঞ্চের নীচে গাড়িতেই বসেছিলেন বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা।

- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -