Homeবাংলাদেশবাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনে চলল গুলি, হিংসায় মৃত্যু হল ১ জনের

বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনে চলল গুলি, হিংসায় মৃত্যু হল ১ জনের

- Advertisement -

ঢাকা – রক্ত ঝড়ল বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনে। চলল গুলি। মৃত্যু হল ১ জনের। গুলিবিদ্ধ আরও দু‘জন গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গুলিবিদ্ধ যুবকদের নাম শান্ত বড়ুয়া এবং মহম্মদ জামাল। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁরা চিকিৎসাধীন।

রবিবার ২৯৯টি কেন্দ্রে ভোট শুরু হতেই সকাল থেকেই ছোটখাটো অশান্তির খবর আসছিল দেশের নানা প্রান্ত থেকে। বেলা বাড়তে অশান্তি বেড়েছে। একাধিক বুথে ভোট বাতিল করতে হয়েছে। চট্টগ্রামে ভোটকেন্দ্রের সামনেই গুলি চলার অভিযোগ ওঠে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সূত্রে বেলা ৩টে পর্যন্ত ২৭ শতাংশ ভোট পড়ার কথা জানা গিয়েছে।

একাধিক স্কুলে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতেও ভোটের বুথ হিসেবে চিহ্নিত করা দুটি স্কুলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরমধ্যে একটি ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামে এবং দ্বিতীয় ঘটনাটি গাজিপুর শহরের।

রবিবার ভোট শুরু হতেই বিভিন্ন কেন্দ্রে কারচুপি থেকে শুরু করে দেদার ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগ পাওয়ার পর একটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বাতিল করে দিল বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন। শুধু তাই নয়, এই ঘটনার জেরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের মন্ত্রীর ছেলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন।

জানা গিয়েছে, নরসিংদী-৪ আসনের সল্লাবাদ ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। ওই আসনে আওয়ামী লিগের নৌকা প্রতীকে প্রার্থী ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। তাঁর ছেলে মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদীকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

হুমায়ূন নরসিংদী-৪ থেকে আওয়ামী লিগের টিকিটে পুনরায় নির্বাচনে লড়ছেন। এই আসনে তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী নরসিংদী জেলার আওয়ামী লিগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম খান বিরু। কারণ সেখানে তিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়ছেন। তাই ভোটে হারার আশঙ্কায় ছাপ্পা ভোট করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

বিরোধীদের অভিযোগ, ভোট শুরুর কিছুক্ষণ পরে হুমায়ুনের ছেলে মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদী ভোট কেন্দ্রে ঢুকে ১২টি ব্যালটে জোরপূর্বক আওয়ামী লিগের নির্বাচনী প্রতীক ‘নৌকা’য় সিল মারেন। জানা যায়, একদল কর্মী নিয়ে তিনি ওই নির্বাচনী কেন্দ্রে ঢুকে পড়েছিলেন। তারপরেই ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে তাতে ছাপ্পা ভোট দেন বলে অভিযোগ। তারপরেই তাঁকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন নির্বাচন কমিশনার।

বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, চট্টগ্রামের পাহাড়তলি কলেজের ভোটকেন্দ্রের সামনে দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ ওই ঘটনা ঘটে। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই ভোটকেন্দ্রের বাইরে রবিবার সকালে প্রকাশ্যে এক যুবককে গুলি চালাতে দেখা গিয়েছে। তবে তাঁর পরিচয় জানা যায়নি।

আরও জানা গিয়েছে, সকালে ভোট পর্ব শুরু হওয়ার কিছু পরেই চট্টগ্রামের পাহাড়তলি কলেজে অশান্তি শুরু হয়। শাসকদল আওয়ামী লীগের সমর্থকদের সঙ্গে ফুলকপি প্রতীকের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। তার জেরেই গুলি চলেছে। তবে বন্দুকধারী কোন পক্ষের সমর্থক, তা জানা যায়নি।

বাংলাদেশের প্রধান বিরোধীদল বিএনপি-সহ আরও কিছু দল ভোট বয়কট করায় সকাল থেকেই বিভিন্ন বুথে ভোটারের সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো কম। তাছাড়া, খালেদা জিয়ার দল বিএনপি শনিবার থেকে বাংলাদেশে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল। তারও প্রভাব দেখা গিয়েছে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশ্য রবিবার সকাল সকাল ভোট দিয়েছেন। জানিয়েছেন, দলের সাফল্যের বিষয়ে তিনি আশাবাদী। বিরোধীদের বয়কট বা ধর্মঘটকে গুরুত্ব দিতে রাজি হননি প্রধানমন্ত্রী।

- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -