HomeখবরCovid: ফের বাড়ছে করোনা, টিকা নিতে হবে কি? জেনে নিন কী বলছেন...

Covid: ফের বাড়ছে করোনা, টিকা নিতে হবে কি? জেনে নিন কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

- Advertisement -

কলকাতা – এখনও হয়তো অনেকে পাত্তা দিচ্ছেন না। কিন্তু শীতের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে শুরু করেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। গত কয়েক দিনে দেশের নানা প্রান্তে কোভিড গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। উদ্বেগ বাড়িয়েছে ভাইরাসের নতুন উপরূপ জেএন.১। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭৫২ জন। সেই সঙ্গে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ৩,৪২০-তে। এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে, নতুন করে কি ফের সবাইকে করোনার টিকা নিতে হবে?

এই মুহূর্তে সারাদেশের পরিস্থিতি

স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় চার জনের মৃত্যুও হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু’জন কেরলের বাসিন্দা, এক জন রাজস্থান এবং এক জন কর্নাটকের বাসিন্দা। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে মোট ২২ জন করোনা রোগীর শরীরে জেএন.১ উপরূপের অস্তিত্ব জানা গিয়েছে। ভাইরাসের এই উপরূপ নিয়ে সারা বিশ্ব উদ্বিগ্ন। চিনে জেএন.১-এ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা উত্তরোত্তর বাড়ছে। ভরে উঠেছে হাসপাতালগুলি। তবে এখনও এই উপরূপের প্রভাবে কারও মৃত্যুর খবর জানা যায়নি।

করোনা যে রাজ্যগুলিতে সবথেকে বেশি ছড়াচ্ছে

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা বৃদ্ধি পেয়েছে কেরল, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু এবং গুজরাতে। করোনার বিষয়ে সতর্ক হতে রাজ্যগুলিকে পরামর্শ দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রতি রাজ্যে কেন্দ্রের সতর্কবার্তা পৌঁছেছে। রাজ্য সরকারের তরফেও করোনা ঠেকাতে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। রাজস্থান, কর্নাটক, বিহার এবং অন্ধ্রপ্রদেশে স্বাস্থ্য দফতর করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে। তবে এখনই নতুন করে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা বা ঘুরতে যাওয়ায় বিধিনিষেধ আরোপ করার মতো কোনও পরিকল্পনা সরকারের নেই।

কলকাতায় করোনার অবস্থা

কলকাতাতেও করোনা নতুন করে মাথা চাড়া দিয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত শহরে মোট আট জনের দেহে ভাইরাসের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ছিল ছ’মাসের এক শিশুও। জেএন.১ উপরূপ কারও দেহে রয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হবে।

ফের করোনা টিকা

কোভিডের নতুন উপরূপ নিয়ে উদ্বেগের মাঝে একটি প্রশ্ন সকলের মনেই দানা বেঁধেছে। আবার কি তবে টিকা নিতে হবে? কোভিড টিকা নেওয়ার হুড়োহুড়ি কি আবার শুরু হবে? রবিবার সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিলেন দেশের কোভিড প্যানেলের প্রধান। ইন্ডিয়া-সারস-সিওভি২ জিনোমিক কনসোর্টিয়ামের প্রধান এনকে অরোরা সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

অরোরা জানান, এই মুহূর্তে কোভিডের নতুন উপরূপ জেএন.১-এর জন্য কোনও আলাদা টিকার প্রয়োজন নেই। তবে সতর্ক থাকতে হবে সকলকে। তিনি বলেন, ‘‘ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের সতর্ক থাকতে হবে। যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে, যাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাসকারী কোনও ওষুধ খেতে হয়, তাঁদেরও বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তবে এখনই এই নতুন উপরূপের জন্য আলাদা প্রতিষেধকের প্রয়োজন নেই।’’

শুধু জেএন.১ নয়, অরোরা জানিয়েছেন, ওমিক্রনের বহু উপরূপের খোঁজ মিলেছে। কিন্তু কোনওটাই সে ভাবে জাঁকিয়ে বসতে পারেনি। জেএন.১-এও তেমন জোরালো সংক্রমণ দেখা যায়নি এখনও পর্যন্ত। এই উপরূপের প্রভাবে হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে না। মৃত্যুও হচ্ছে না তেমন। এই উপরূপে আক্রান্ত রোগীরা দুই থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠছেন। জ্বর, কাশি, সর্দি ছাড়াও ডায়েরিয়া এবং গা-হাত-পা ব্যথার মতো উপসর্গ থাকছে রোগীদের।

- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -