শান্তিনিকেতন, বীরভূম: তিন বছর পর ফের হচ্ছে পৌষমেলা। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ নয়, এবার পৌষ মেলার উদ্বোধন করল খোদ রাজ্য সরকার। শান্তিনিকেতনে (Shantinikatan) পৌষ মেলার (Poush Mela) ভার্চুয়াল উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। উদ্বোধন অনুষ্ঠান থেকেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
এদিন পৌষমেলা উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই জায়গা কেউ কলুষিত করুক চাই না। কোনও স্বৈরাচারী মনোভাব নিয়ে বিশ্বভারতী চালালে হবে না। আশ্রমিক থেকে পড়ুয়া সকলকেই সম্মান দিতে হবে।’ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের পৌষ মেলা বন্ধের সিদ্ধান্ত মানুষ ভাল ভাবে নেয়নি বলেও মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
পৌষমেলা উদ্বোধন করল রাজ্য প্রশাসন
এবার বিশ্বভারতী নয়, মেলার আয়োজন করেছে বীরভূম জেলা প্রশাসন। পৌষমেলার উদ্বোধনের আগে ছাতিম তলায় বিশেষ গানের মধ্য দিয়ে পৌষ উৎসবের সূচনা হয়। উৎসবের সূচনা করেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয় কুমার মৌলিক। এরপর ছাতিমতলা থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘উদয়ন’ বাড়ি পর্যন্ত বিশেষ পদযাত্রার আয়োজন করা হয়।
ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোনে বলেছেন, “গ্রাম ছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ, আমার মন ভোলায় রে। এই গানটি আজও আমাদের কাছে সমাদৃত এবং বিশ্বজনিন। কবিগুরুর অবদান বিশ্বের কাছে অবদান রয়েছে।” মুখ্যমন্ত্রী বার্তা দিয়ে বলেছেন, কেউ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই স্থানকে কলুষিত করুক আমরা সেটা চাই না। তাই ভালবাসার সঙ্গে, সতর্কতার সঙ্গে এই মেলা পরিচালনা করার কথা বলেছেন মমতা।
পৌষমেলা বন্ধ ছিল কেন
করোনার সময় প্রথম বন্ধ হয়েছিল পৌষমেলা। পরপর তিন বছর বন্ধ ছিল মেলা। এর জন্য কাঠগড়ায় ওঠে বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর দিকে। তাঁর ইচ্ছা বা মেলা করার ক্ষেত্রে আগ্রহ নেই বলেই অভিযোগ করে বিরোধীরা। তবে প্রথম থেকেই প্রশ্ন উঠছিল এ বছর কি মেলা হবে? অনিশ্চিয়তার মেঘ ঘনায়। পরবর্তীতে আসে সুখবর, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঐতিহ্যমণ্ডিত পৌষ মেলার দায়িত্ব নেয় জেলা প্রশাসন।