Saturday, November 9, 2024
Saturday, November 9, 2024
Homeবিদেশদাদা নয়, ভাইয়ের কপালেই ফের ছিঁড়ল শিকে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন শাহবাজ শরিফ

দাদা নয়, ভাইয়ের কপালেই ফের ছিঁড়ল শিকে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন শাহবাজ শরিফ

- Advertisement -

ইসলামাবাদ – নির্বাচনের আগে পাকিস্তানে ধুয়ো উঠেছিল – এবার প্রধানমন্ত্রী হবেন নওয়াজ শরিফ। কিন্তু দীর্ঘ টানা-হ্যাঁচড়ার পর জানা গেল, দাদা নওয়াজ নয় বরং ভাই শাহবাজ শরিফই পেতে চলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি। মনে করা হচ্ছে, শাহবাজের প্রধানমন্ত্রীত্বের ফলে আরও দীর্ঘ হতে চলেছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের জেল জীবন। যদিও ইমরানের দলই সবথেকে বেশি আসন পেয়েছে এই নির্বাচনে।

নওয়াজ শরিফের পাশাপাশি ভোটের আগে পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বেনজির ভুট্টোর পুত্র বিলাবল ভুট্টোকেও প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার হিসেবে মনে করেছিল। কিন্তু সব জল্পনায় মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে। জানা গিয়েছে, বিলাবল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি এবং নাওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নাওয়াজ একসঙ্গে মিলে সরকার গড়বে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে এক সাংবাদিক বৈঠকে এই কথা জানিয়েছেন বিলাবল। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন নাওয়াজ শরিফ এবং প্রেসিডেন্ট পদে থাকবেন ভুট্টোর দলের নেতা এবং বিলাবল ভুট্টোর বাবা আসিফ আলি জারদারি।

সাংবাদিক বৈঠকে ভুট্টোর সঙ্গে ছিলেন আসিফ এবং শরিফ। ৩৫ বছরের বিলাবল বলেন, ‘‘পিপিপি এবং পিএমএল-এন প্রয়োজনীয় সংখ্যা জোগাড় করে ফেলেছে। এখন আমরা সরকার তৈরির জায়গায় পৌঁছে গিয়েছি।’’ এ কথায় সায় দেন পাশে বসে থাকা শাহবাজও। হবু প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, ইমরানের পিটিআই এবং সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিল প্রয়োজনীয় সংখ্যায় পৌঁছতে পারেনি, কিন্তু তাঁরা পৌঁছে গিয়েছেন।

৮ ফেব্রুয়ারির ভোটের কোনও নির্দিষ্ট ফলাফল না মেলায় এই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল। সব প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে ইমরানের দলের নেতারা সব থেকে বেশি সংখ্যক আসন পেলেও তাঁরা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা জোগাড় করতে পারেননি। পাশাপাশি পিটিআই-এর নেতারা নির্দল হিসেবে লড়েন।

তাতে দেখা যায়, পিএমএল-এন জিতেছে ৭৫টি আসন, পিপিপি পেয়েছে ৫৪টি আসন। আর সবাইকে পিছনে ফেলে দিয়েছিলেন ইমরানের দল পিটিআই সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা। তাঁরা জিতেছিলেন মোট ৯৩টি আসনে। এই ফলের জেরে কোনও দলই একক ভাবে সরকার গড়ার মতো অবস্থায় ছিল না।

কিন্তু মঙ্গলবার রাতে পরিষ্কার হয়ে গেল, পিপিপি এবং পিএমএল-এন জোট বেঁধে সরকার গড়তে চলেছে। এর পাশাপাশি মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম-পি) ১৭টি আসন নিয়ে জোটকে সমর্থনের কথা জানিয়ে দিয়েছে। ফলে ১৪৬ জন জয়ী সদস্যের সমর্থন নিয়ে পাকিস্তানের মসনদে বসতে চলেছেন শাহবাজ।

আরও খবর
- Advertisment -

সবাই যা পড়ছেন

পছন্দের খবর