Homeরাজনীতিকালীঘাটের কাকু ইডির হাতে গ্রেফতার মানেই কেল্লাফতে, মনে করছেন শুভেন্দু অধিকারী

কালীঘাটের কাকু ইডির হাতে গ্রেফতার মানেই কেল্লাফতে, মনে করছেন শুভেন্দু অধিকারী

- Advertisement -

কলকাতা – নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ১২ ঘণ্টা ম্যারাথন জেরা। তারপর মঙ্গলবার রাতে ইডির হাতে গ্রেফতার হন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি এবং লেনদেনের ব্যাপারে স্পষ্ট উত্তর না দেওয়ায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আজ, বুধবার ইডির বিশেষ আদালতে তাঁকে পেশ করা হয়েছে। ইডি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর ১৪ দিনের হেফাজত চেয়েছে। কালীঘাটের কাকুর সঙ্গে আর কার কার যোগাযোগ রয়েছে সেটা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তবে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র সরাসরি রাজ্য–রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন। কিন্তু ইডি তাঁকে গ্রেফতার করতেই তরজা শুরু হয়েছে শাসক–বিরোধীর।

এদিকে, বাইরন বিশ্বাসের দলবদলের সঙ্গে এই গ্রেফতারির যোগ থাকতে পারে বলে টুইটে ইঙ্গিত দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। তবে এই গ্রেফতারি আসলে তদন্তকারীদের মাস্টারমাইন্ডের কাছে পৌঁছে দিয়েছে বলে পাল্টা টুইটে দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

কুণাল ঘোষ তাঁর টুইটে প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‌বাইরন বিশ্বাসের দলবদলের পর এই পদক্ষেপ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় তো? বাইরন তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় কংগ্রেস–সিপিএম–বিজেপি জোট ধাক্কা খেয়েছিল। সেই রাগে এবং নিজেদের ব্যর্থতা থেকে নজর ঘোরাতে দিনভর নাটকের পর উপসংহার নয় তো?’

পালটা শুভেন্দু অধিকারী তাঁর টুইটে লিখেছেন, ‘‌অবশেষে মাস্টারমাইন্ডদের কাছাকাছি পৌঁছচ্ছে আইনের হাত। কাউকে রেয়াত করা হবে না। সময় ঘনিয়ে আসছে। সকলকে জেলে যেতে হবে। যারা এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত।’‌ এই টুইটের সঙ্গে যুক্ত করেছেন একটি নামের তালিকা। যেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী নাম উল্লেখ রয়েছে।

অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারী তাঁর টুইটে পরিষ্কার বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন, এবার কালীঘাটের পালা। মাথাদের জেলে যাওয়ার পালা। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, শুভেন্দু অধিকারী এতটা আত্মবিশ্বাসী হচ্ছেন কী করে? এর উত্তর লুকিয়ে রয়েছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর গ্রেফতারির মধ্যে।

ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে কালীঘাটের কাকুর নাম প্রথম উঠে আসে জেলবন্দি তাপস মণ্ডলের মুখে। তিনি আদালতের বাইরে সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, সুজয়ের কাছে এজেন্টদের তালিকা এবং টাকা পৌঁছত। তিনি তা পাঠাতেন ‘এক ব্যক্তি’র কাছে। তদন্তকারীরা দেখেন, কালীঘাটের কাকুর পাঠানো নামের সিংহভাগই স্কুলে চাকরি পেয়েছেন। পরে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়। তাতে একটি আলাদা ফোল্ডারে চাকরিপ্রার্থীদের নামের তালিকা রয়েছে। সঙ্গে কে কত টাকা দিয়েছেন, তারও উল্লেখ রয়েছে।

অন্যদিকে, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র মাস তিনেক আগে এক টিভি চ্যানেলকে সাক্ষাতকার দিতে গিয়ে স্বীকার করছেন, তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে কাজ করেন। তাছাড়া, তাঁর আর কোনও অন্য কাজ নেই। কোনও আলাদা ব্যবসা নেই। তাহলে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর নানান ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এত কোটি কোটি টাকার লেনদেন হল কিভাবে? এই প্রশ্নর উত্তর সুজয়কৃষ্ণ ইডির তদন্তকারী আধিকারিকদের দিতে পারেননি। আর এখানেই কেল্লাফতে বলে মনে করছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -