Homeপশ্চিমবঙ্গ৯ ঘণ্টার ইডির জেরার পর শুভেন্দুকে জেলে ঢোকানোর হুঁশিয়ারি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

৯ ঘণ্টার ইডির জেরার পর শুভেন্দুকে জেলে ঢোকানোর হুঁশিয়ারি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

- Advertisement -

কলকাতা – জেরার মুখোমুখি হলেন। ৯ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ চলল। শেষে রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে এসে সোজা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে জেলে ঢোকানোর হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের নাম্বার টু। অভিষেক বললেন, ‘‘শুভেন্দুকে টিভি ক্যামেরার সামনে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। অথচ কোনও বিচারপতি বলেননি, ওঁকে ডেকে পাঠাও। আমি বলব, যাঁরা নারদায় অভিযুক্ত তাঁদের সবাইকে গ্রেফতার করুন। শুরুটা হোক শুভেন্দুকে দিয়ে। আমি বলে দিচ্ছি, এর পর এনডিএ সরকার গিয়ে ‘ইন্ডিয়া’ ক্ষমতায় আসবে। তখন গ্রেফতার হবেন শুভেন্দু।’’

তবে শুধু শুভেন্দুই নয়, এদিন ইডির জেরার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি এদিনের জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে ইডিকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘এর আগে নিট ফল ছিল জিরো। এখন আরও দু’নম্বর কমল। মাইনাস টু। নিট ফল মাইনাস টু।’’ পাশাপাশি, ইডির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অভিষেক বললেন, নারদা কেলেঙ্কারিতে এফআইআরে অভিযুক্ত শুভেন্দুকে গ্রেফতার করা হয়নি। উল্টে বিজেপি তাঁকে দলে নিয়েছে। সাড়ে ন’বছরে নারদার তদন্ত এগোয়নি। আর এই মামলায় ঠিক ভোটের সময় বা আমার কোনও রাজনৈতিক কাজ থাকলে তখনই ডাকা হয়।

এদিন ইডির জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে অভিষেক বলেন, ‘‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস নিয়ে ওরা আগেও বহুবার প্রশ্ন করেছে। দু’বছর আগেও আমার কাছে এই একই প্রশ্ন এসেছিল। তখন কয়লা এবং গরু কেলেঙ্কারিতে জানতে চাওয়া হয়েছিল, এখন এই মামলায় জানতে চাওয়া হচ্ছে। সব দুর্নীতির টাকা লিপ্‌স অ্যান্ড বাউন্ডসে ঢুকেছে? একটি সন্তানকে কতজন মা গর্ভে ধারণ করবে? আসলে আমি যেহেতু সিইও তাই ইডির দায়িত্ব এটা প্রমাণ করা যে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র আমার বার্তা নিয়ে যেত।’’

তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, শুভেন্দু বলেছেন, তাঁর ভাইকে জেরা করার নামে হেনস্তা করা হচ্ছে। অভিষেকের জেরা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এখন দেখ কেমন লাগে! শুনে অভিষেক বললেন, ‘‘আমিও ধূপগুড়ির রেজাল্ট নিয়ে বলছি দেখ কেমন লাগে? কিন্তু তফাতটা হল আমি ইডির মতো কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করে এ কথা বলছি না। আমি রাজনৈতিক ভাবে জিতে এ কথা বলছি।’’

এখানেই থেমে থাকেননি অভিষেক। তিনি আরও বলেন,  ‘‘আমাকে টানা ৪ দিন জেরা করলেও মেরুদণ্ড বিক্রি হবে না। কারণ আমরা বশ্যতা স্বীকার করতে জানি না। তবে ইডিকে আমি দোষ দিই না। ওঁরা কর্মী মাত্র। নির্দেশ পালন করাই ওঁদের কাজ।’’

এদিন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতিদেরও ছেড়ে কথা বলেননি অভিষেক। তাঁর ক্ষোভ গিয়ে পড়ে কলকাতা হাই কোর্টের জনা কয়েক বিচারপতিদের ওপরে। কারও নাম না নিয়েই অভিষেক বলেন, ‘‘মাননীয় বিচারপতিরা আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আদেশ দিয়েছেন। আমি বলব তাঁদের সামনে আগামীকাল ইডি এদিনের জিজ্ঞাসাবাদের কপি পেশ করুক। মাননীয় বিচারপতিরাও সেটা দেখুন।’’

প্রসঙ্গত, গত ২০ মে সিবিআই যে দিন অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল, সে দিন প্রায় ৯ ঘণ্টা ৪০ মিনিট জেরা করা হয়েছিল তৃণমূল সাংসদকে। নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার সূত্রে বুধবার ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়ার পর ৯ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের ভিতরেই রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। 

- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -