Homeপশ্চিমবঙ্গঅভিষেকের নিরাপত্তা রক্ষীদের অখিল গিরিকে কনুইয়ের গুঁতো! জখম রাজ্যের জেলমন্ত্রী

অভিষেকের নিরাপত্তা রক্ষীদের অখিল গিরিকে কনুইয়ের গুঁতো! জখম রাজ্যের জেলমন্ত্রী

- Advertisement -

কাঁথি – অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ারের ভিড়ে যোগ দিতে গিয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের কনুইয়ের গুঁতো খেলেন পশ্চিমবঙ্গের কারামন্ত্রী অখিল গিরি। যে ঘটনার জেরে পাল্টা এক রক্ষীর দিকে তেড়ে যেতে দেখা গেল রামনগরের বিধায়ককে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন অভিষেকের অন্যান্য নিরাপত্তারক্ষী এবং মন্ত্রীর অনুগামীরা। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে। যদিও অখিল গিরি পরে বলেন, ‘‘কোনও গন্ডগোল হয়নি।’’ যদিও এনিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘বাড়াবাড়ির চরম পর্যায়। কাল দড়ি দিয়ে ঘিরেছিল রাস্তা। তাতে এক বিএড ছাত্রী আহত হয়েছেন।’’

বুধবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর শহরে পৌঁছোন অভিষেক। দুপুরে মুকুন্দপুরের চণ্ডীভেটিতে জনসংযোগ যাত্রায় প্রচণ্ড ভিড় ছিল। অভিষেকের নিরাপত্তা রক্ষা করতে গিয়ে কার্যত হিমশিম খাচ্ছিলেন নিরাপত্তাকর্মীরা। ওই সময় অখিল হেঁটে অভিষেকের গাড়ির দিকে যেতে গিয়ে বাধা পান। তাঁকে ঠেলে সরিয়ে দেওয়া হয়। আচমকা এই আচরণে হকচকিয়ে যান মন্ত্রী। তাঁকে চেঁচিয়ে কিছু বলতে দেখা যায়। এর পর মমতার মন্ত্রিসভার সদস্যের অনুগামীদের সঙ্গে খানিক ধস্তাধস্তি হয় অভিষেকের নিরাপত্তাকর্মীদের। অখিল জানান, তিনি হাতে আঘাত পেয়েছেন।

ঘটনাচক্রে বুধবারই অভিষেকের নিরাপত্তার ‘বাড়াবাড়ি’ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। টুইটে তিনি লেখেন, ‘‘দেশে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, তাই তো? ভুল। দেখুন ভাইপোর নিরাপত্তার জন্য এক দিনে ২ হাজার ২৪৫ জন নিরাপত্তারক্ষীকে মোতায়েন করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছেও এই নিরাপত্তা তুচ্ছ। বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক ভাবে অবনতি হয়েছে।’’

শুভেন্দু আরও লেখেন, ‘‘এই মাসেই বিস্ফোরণে শিশু, মহিলা-সহ অনেকে মারা গিয়েছেন। অগুনতি রাজনৈতিক খুন হচ্ছে বাংলায়। দক্ষিণবঙ্গের সব থানা খালি। এক জনের নিরাপত্তায় সব পুলিশকর্মীকে মোতায়েন করা হয়েছে।’’

অখিলকে অভিষেকের নিরাপত্তারক্ষীদের ধাক্কা দেওয়ার ঘটনাকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন শুভেন্দু। অধিকারী এবং গিরি পরিবারের মধ্যে পারিবারিক সম্পর্ক থাকলেও রাজনৈতিক সম্পর্ক বরাবরই ‘খারাপ’। এমনকি, শুভেন্দু যখন তৃণমূলে ছিলেন সেই সময়ও তাঁরা ছিলেন যুযুধান দুই গোষ্ঠী। তবে অখিলের আহত হওয়ার ঘটনায় শুভেন্দু বলেন, ‘‘সত্যিমিথ্যা জানি না। যদি এমন ঘটে থাকে তাহলে দুঃখজনক ঘটনা। গাঁয়ের গরিব লোক মার খেয়েছেন নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে। আর কী বলব!’’

- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -